স্বাস্থ্য কণিকা: ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবদেহে রক্তচাপের একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে। তার ওপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার ও নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপও কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লো ব্লাড প্রেসারের আরেক নাম হাইপোটেনশন। প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।
ফলে প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি।
১. স্ট্রং কফি, হট চকোলেট এবং যে কোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেয়ে নিতে পারেন। ২. লবণে আছে সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করতে হবে। ৩. হাইপার টেনশনের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিসমিস। এক-দুই কাপ কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খেয়ে নিন। তাছাড়া ৫টি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন। ৪. ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনাপাতা বেটে এতে মধু মিশিয়ে পান করলে কাজে দেবে৷ ৫. আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। ৬. বিটের রস হাই ও লো প্রেসার- উভয়টির জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।