জাতীয়

ফখরুলসহ বিএনপির ৭ নেতার আগাম জামিন

By daily satkhira

October 03, 2018

দেশের খবর: সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৭ নেতার আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন জমা না দেয়া পর্যন্ত তাদের আগাম জামিন দেওয়া হয়। জামিন সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে বুধবার (৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। জামিন পাওয়া অন্য নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এর আগে গত ১ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছ পুলিশ। মামলায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকেও আসামি করা হয়। ইতোমধ্যেই এ মামলায় স্থায়ী কমিটিরি এক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আইন সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। মামলায় পুলিশ বলছে, বিএনপি কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। মামলায় বলা হয়, বিএনপির এসব নেতার এমন বক্তব্যের পর ১ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা পুলিশকেই হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। সেখানে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা লাঠি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারধর শুরু করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। মামলায় আরো বলা হয়, ভাঙচুর করা গাড়িগুলো আত্মরক্ষার্থে দ্রুত চলে যাওয়ায় গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ।