স্বাস্থ্য কণিকা: সন্তান জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার খাওয়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। মায়ের বুকের দুধ খেলে শিশু সুস্থ থাকে আর বিভিন্ন জটিল রোগেরও সমাধান মেলে। শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার মায়ের বুকের দুধ। এতে রয়েছে শিশুর বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি। রয়েছে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান, যা শিশুকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। শিশুর বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। আসুন জেনে নেই শিশুকে মায়ের দুধ কেন খাওয়াবেন।
কমপক্ষে ৬ মাস বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুকে কমপক্ষে চার থেকে ছ’মাস বুকের দুধ পান করানো উচিত৷ কারণ এতে শিশুর ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন বাড়া, অ্যালার্জি এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে।
ফুসফুসকে শক্তিশালী মায়ের দুধ সরাসরি পান করার মধ্য দিয়ে শিশুর ফুসফুসও শক্তিশালী হয়৷
মায়ের উপকার শিশু মায়ের দুধ পান করলে মায়ের স্তন ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে৷ তাছাড়া তাড়াতাড়ি মায়ের গর্ভকালীন ওজন কমাতেও সাহায্য করে এটি৷ তাছাড়া দুধ পান করানোর মধ্য দিয়ে মা এবং শিশুর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর এবং মজবুত হয়৷
মা-বাবা শিশু জন্মের পর তাকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে নতুন মা-বাবাই৷ তবে শিশুর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাবার৷
বুকের দুধে সব পুষ্টিগুণই থাকে মায়ের বুকের দুধে নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণই থাকে, যাতে একটি শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে৷ এ কথা জানা যায় সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে৷
অ্যাজমার ঝুঁকি কমায় মায়ের দুধ পান করলে শিশুর অ্যাজমার ঝুঁকি কমে শতকরা ৪০ ভাগ – এই তথ্যটি জানা যায় ক্যানাডিয়ান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতি গবেষণা থেকে৷ বলা বাহুল্য, জার্মানিতে শিশুরা যে রোগগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভোগে তা হলো অ্যাজমা বা হাঁপানি৷
প্রতি ফোঁটা দুধই শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি শিশু প্রতি মাসে যত দিন যতটুকু দুধই পান করুক না কেন, তার প্রতি ফোঁটাই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করে৷ জানা যায়, প্যারিসের মাতৃদুগ্ধ বিষয়ক একটি গবেষণা গ্রুপের করা সমীক্ষা থেকে৷
তবে পাম্প করা দুধ নয় যে শিশু সরাসরি মায়ের বুক থেকে দুধ পান করে তার অ্যাজমার ঝুঁকি কমে বেশি৷ পাম্প করে নিয়ে পরে দুধ খাওয়ালে নাকি উপকার কম হয়৷ কারণ ধারণা করা হয়, পাম্প করা দুধ ঠাণ্ডা হলে তার গুণ কমে যায়৷ তাই মায়ের দুধ সরাসরি পান করারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷