অনলাইন ডেস্ক: স্বামীকে না জানিয়ে তার ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করায় এক নারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একটি আদালত। ইউএইর রাস আল খাইমাহ অঞ্চলের অধিবাসী এক ব্যক্তি স্ত্রীর বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে বিচারকাজ শেষে মঙ্গলবার দেয়া রায়ে স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। অভিযোগপত্রে স্বামী লিখেছিলেন, তার স্ত্রী অজ্ঞাতসারে তার ফোনে তল্লাশি চালিয়েছেন। এমনকি পরে যেন সব ঘেঁটে দেখতে পারেন, সেজন্য অন্য আরেকটি ডিভাইসে স্বামীর ফোন থেকে সব তথ্য কপি করেও রেখেছিলেন। ডেইলি মেইল জানায়, ওই ব্যক্তি একদিন হঠাৎই টের পান, তিনি ঘুমিয়ে আছেন মনে করে স্ত্রী তার ফোন স্ক্রল করে সেখানে কী কী আছে দেখছেন। এরপর তিনি ফোনে থাকা ছবি আর চ্যাটগুলোও নিজের ফোনে ট্রান্সফার করে নিলেন যেন নিজের ভাইবোনদের দেখাতে পারেন। এটা টের পাওয়ার পরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। তবে অভিযুক্ত নারীর দাবি, তার স্বামীই তাকে নিজের পাসওয়ার্ড দিয়ে তার ফোন দেখার অনুমতি দিয়েছিলেন। কেননা এর আগে তিনি অন্য নারীদের সঙ্গে চ্যাট করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। ইউএইতে সাইবার অপরাধ বিষয়ক, বিশেষ করে অনলাইনে ব্যক্তির গোপনীয়তা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আইন খুবই কড়া। তবে টুইটারে অনেকে স্ত্রীর পক্ষে নানারকম পোস্ট দিয়েছেন। একজন এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘যদি স্ত্রী স্বামীর কর্মকাণ্ডে সন্দেহপ্রবণ না হতেন, তাহলে নিশ্চয়ই ফোন ঘেঁটে দেখতেন না। নিজের স্ত্রীকে জেলে পাঠানো কি তার জন্য লজ্জাজনক নয়?’ অন্যরা আবার মনে করছেন মহিলা জেল খাটাই উচিত। একজন টুইট করে বলেছেন: ‘সে (স্ত্রী) এটারই যোগ্য। কে বলেছিল না বলে ফোন ঘাঁটতে?’ স্থানীয় পত্রিকা ইমারাত আল ইয়াওম’কে আইনজীবী রায়েদ আল আওরাকি ও মোহাম্মদ জাদ আল মাওলা জানান, অনুমতি ছাড়া যেকোনো ব্যক্তির মোবাইল ফোনের তথ্য দেখা ও খোঁজা দেশটিতে বেআইনি। এমনকি বাবা-মা ও বিবাহিত যুগলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।
গত আগস্ট মাসে ইউএইর প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা এই নতুন সাইবার অপরাধ আইন ইস্যু করেন। এই আইনে অপরাধ প্রমাণ হলে দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।