বিদেশের খবর: তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল কিছু প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন হলো, মুসলিম বলেই কি ছেলের হত্যার সুবিচার পাচ্ছেন না? ছেলের হত্যাকে পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে? এতে ক্রমশ হাতাশ হচ্ছিলেন তিনি। সুবিচার পেতে তাই একেবারে ধর্ম পরিবর্তনের রাস্তা বেছে নিলেন আখতার। রীতিমতো হলফনামা দিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে সে কথা জানিয়েও আসেন। আর এই ঘটনায় আবারো প্রশ্ন উঠে গেল ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। বাগপতের বরারখা জেলার বাসিন্দা আখতার। মাসখানেক আগে তার ছেলে গুলহাসানের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগও করেন আখতার। কিন্তু পুলিশ খুনের অভিযোগ না নিয়ে সেটাকে স্রেফ আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মামলা নেয়। প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলেন আখতার। শেষাবধি ছেলের হত্যার সুবিচার পেতে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন আখতার ও তার পরিবারের ১২ জন সদস্য! বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে আখতার ও তার পরিবার ধর্ম পরিবর্তন করেছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রীতিমতো যজ্ঞ করে ধর্ম পরিবর্তনের আয়োজন করে যুব হিন্দু বাহিনী। রাজ্যের যুব হিন্দু বাহিনী (ভারত)-র প্রধান সৌখেন্দ্র খোখার বলেন, হিন্দু রীতিনীতি মেনেই নাম পরিবর্তন করেছেন আখতারের পরিবার। যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, খুনের প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়ে পুলিশ সেটা আত্মহত্যা বলে মামলা করায় আখতার প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, নিজ ধর্মের লোকেদের কাছে সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে। কেউই তার পাশে দাঁড়াতে চাননি। এক দিকে পুলিশের ভূমিকা এবং অন্য দিকে নিজের ধর্মীবলম্বী লোকেদের আচরণ, এই দুই কারণে আখতার প্রচণ্ড অসহায় হয়ে পড়েন। আর সেই কারণেই ধর্ম পরিবর্তন করেন তিনি ও তার পরিবার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।