অনলাইন ডেস্ক: নারীদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক রয়েছে৷ কিন্তু তারপরেও তা বরাবরেই আলোচনার বিষয়। কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকই রয়েছেন যারা জানেন গরুর সৌন্দর্য বিচারের কথা। এ প্রতিযোগীতায় গরু তাদের রূপ ও গুণের স্বীকৃতি পেয়ে থাকে৷ এমন আয়োজনের বিষয়টা একটু অদ্ভুত ধরণের মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটছে জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে। মালিকদের মতে, কিছু গরুর নিজস্ব অহংবোধ দেখা যায় এ অনুষ্ঠানে৷ এসময় নিজেদের গোয়ালেও বাড়তি খাতির পায় গরুগুলো৷ প্রজননকারী হিসেবে আন কাটরিন মায়ার বলেন, ‘এই গরু কিছু জানতে চাইলে কানদুটি সামনে মেলে দেয়, এখন যেমনটা করছে৷ তারপর মন দিয়ে দেখে৷ সে নিজেকে তারকার মতো মনে করে৷ গোয়ালে এমন আচরণ আরও বেশি লক্ষ্য করা যায়৷ গরুটি মানুষের বড় ন্যাওটা, সহজেই সবার কাছে যায়৷ সবার কাছে আদর চায়৷’ অনেক গরুই পুরস্কার পেয়েছে৷ তবে তাদের মধ্যে কোনটি সেরা গরুর স্বীকৃতি পাবে? এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ১১ বছরে সাতবার মা হওয়া ‘লেডি গাগা নামে’র একটি গরু। এটি বেশ কয়েকবার প্রতিযোগিতায় জিতেছে৷ মূল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি থাকে আরও অনেক কার্যকলাপ৷ যেমন গরুর ছবির শুটিং৷ বিচারকদের কাছে শারীরিক গঠন, দীর্ঘ আয়ু ও দুধ দেবার ক্ষমতা জরুরি বিষয়৷ বয়স্ক ও কমবয়সি গরুর মূল্যও আলাদা৷ ২৪ নম্বর প্রজননকারী একটি পুরস্কার পেয়েছেন৷ এক্ষেত্রে শুধু সৌন্দর্য নয়, মুনাফাও জরুরি বিষয়৷ প্রাণীগুলিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার জন্য প্রস্তুত করা হয়৷ অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন গরু দিনে ৪০ লিটার দুধ উৎপাদন করতে পারে৷ তারা যাতে নিজেদের বাঁটের ভারে কাবু না হয়ে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে প্রজননকারীদের গরুর শারীরিক গঠনের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়৷ এবারে জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দু’শোরও বেশি গরু প্রদর্শিত হয়েছে৷ দর্শকদের আসনে কৌতূহলী মানুষ, চাষি ও প্রজননকারীদের দেখা যায়৷ একজন জানালেন, সুন্দর গরু দেখতে তাঁর দারুণ লাগে৷ তাঁর নিজেরই প্রায় ১০টি গরু রয়েছে৷ তিনি নিজেও একজন প্রজননকারী৷