খেলার খবর: আরেকজন অ্যালিস্টার কুক? অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর পৃথ্বী শকে নিয়ে এমনই আলোচনা চলছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং স্টাইল দেখে বহু মানুষ বলছে গাভাস্কার, শচীন, দ্রাবিড়রা হয়তো ভর করেছে এই তরুণের ওপর। রাজকোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং লাইন আপ, ফুটওয়ার্ক, বল বোঝার ক্ষমতা সব বিভাগেই ১০০ নম্বর পেলেন পৃথ্বী। কব্জির জোরে হার মানালেন নিজের বয়সকে।
১৫৪ বলে খেললেন ১৩৪ রানের মোহময় ইনিংস। হাঁকালেন ১৯টি দর্শনীয় বাউন্ডারি। এই নিয়ে রঞ্জি, দুলীপ ট্রফি ও টেস্ট ক্রিকেট- সবগুলো অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়লেন মুম্বাইয়ের এই দুর্দান্ত প্রতিভা। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ইতিহাস আর কেউ গড়তে পারেনি।
রাজকোটে ভারতের স্কোর তখকন ১ উইকেটে ৯৯। তখনই কিমো পলকে মাটি কামড়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিলেন ডানহাতি পৃথ্বী। নিখুঁত ফুটওয়ার্ক। তার সঙ্গেই জীবনের প্রথম টেস্টে মাত্র ৯৯ বলে পৌঁছে গেলেন তিন অংকে! স্ট্রাইক রেটও হিংসা করার মতো। ১০২ এর কাছে। গ্যালারি, সতীর্থ ও ক্যারিবিয়ান দলের পক্ষ থেকেও উড়ে এল অভিনন্দনের বন্যা।
ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্টে পৃথ্বীর জায়গা পাওয়া নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিলই। তবে বুধবার সকালে ১২ জনের দল ঘোষণার পরেই মুম্বাইয়ের ছেলে পৃথ্বীর জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে পৃথ্বির হাতে ২৯৩ নম্বর টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি।
তথ্যের বিচারে পৃথ্বী ভারতের দ্বিতীয় কম বয়সী ক্রিকেটার, যিনি প্রথম টেস্টেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এর আগে ১৯৫৫ সালে বিজয় মেহরা ১৭ বছর ২৫৫ দিন বয়সে প্রথম টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করেন।
পৃথ্বীকে নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিলেন শচীন টেন্ডুলকারের মতো ক্রিকেট প্রতিভাও। আন্তঃবিদ্যালয় পর্যায়ে পৃথ্বীর খেলা দেখে তার প্র্যাকটিসের সুযোগ-সুবিধার দিকে নানা রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শচীন। প্রায়ই টিপস দিতেন। পৃথ্বীর আজকের ব্যাটিং সাফল্যে আরেকজন শচীন কিংবা গাভাস্কার পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে ভারত।