অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বউ বাজার’ নামে জমজমাট বাজার বসে। এই বাজারে বউ বেচাকেনা হয় না, বরং বউরা এই বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। তবে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় এখনও এক জঘন্য বিয়ের প্রথা চালু আছে। যাকে অনায়াসেই বউ বেচাকেনার হাট বলে উল্লেখ করা যায়। কেননা এখানে অর্থশালীরা চাইলেই দরিদ্র মেয়েদের টাকা দিয়ে ক্রয় করতে পারেন। এই পুরনো প্রথার নাম ‘মানি ম্যারিজ’ বা টাকার বিনিময়ে বিয়ে। জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে মাত্র পাঁচ বছরের নারীকেও একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের হাতে তুলে দেওয়ার নজির রয়েছে। যদিও ২৫ বছর আগে এ ধরনের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে নাইজেরিয়া সরকার। তারপরেও সেখানকার সমাজে এই প্রথায় বিয়ে হচ্ছে। নাইজেরিয়ার কমিউনিটি লিডার ওনামাতোপে সানডে ইনচেলে এ ধরনের ঘটনার শিকার মেয়েদের উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি জানান, গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকেই এ ধরনের বিবাহ প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এখন প্রকাশ্যে এসে তো কোনো ব্যক্তি বলে না, আমি টাকার বিনিময়ে আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আর্থিক অনটনে থাকা পরিবারগুলোই অর্থের বিনিময়ে তাদের মেয়েদের স্বেচ্ছায় এ ধরনের বিয়ে দিয়ে থাকেন। কোনো বাবা অসুস্থ হলে কিংবা পুলিশি মামলায় জড়িয়ে পড়লে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এ ধরনের বিয়ে আসলে এক ধরনের দাসপ্রথা। আর এর মাধ্যমে চরমভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নাইজেরিয়ার মেয়েশিশু ও কিশোরীরা। এ ধরনের বিয়ের শিকার মেয়েদের বলা হয় ‘মানি ওয়াইফ’ বা টাকায় কেনা বউ।