বিদেশের খবর: সৌদি বাদশাহর ক্ষমতায় থাকা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন দেশটির বর্তমান যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি বাদশাহকে যুক্তরাষ্ট্র যে নিরাপত্তা দিচ্ছে তার বিনিময়ে সৌদি কোনো কিছুই দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন সালমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিন সালমান এসব মন্তব্য করেন। বুধবার নেয়া তার এ সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার তা প্রচার করা হয়েছে। খবর আইআরআই। সাক্ষাৎকারে সালমান বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কিছুই দেব না। আমরা বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব অস্ত্র আমরা কিনে থাকি তার জন্য অর্থ দেয়া হয়, সেগুলো বিনা মূল্যের অস্ত্র নয়। নিরাপত্তার জন্য সৌদি আরবকে কোনো অর্থ দিতে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক শুরু হয়েছে তখন থেকেই আমরা সবকিছু অর্থের বিনিময়ে কিনেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমরা পরবর্তী ১০ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে শতকরা ৬০ ভাগ অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সৌদি যুবরাজ আরও বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরব ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্রসহ অন্যান্য বিনিয়োগ চুক্তি করেছে যার মোট মূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলার; এসবই ট্রাম্পের জন্য বড় অর্জন। সালমানের মতে, এসব চুক্তির আওতায় অস্ত্রের একটা অংশ তৈরি হবে সৌদি আরবে যার ফলে আমেরিকা ও সৌদি আরবে কর্মসংস্থান হবে; ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হবে, ভালো লাভ হবে এবং ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসবে। এর পাশাপাশি এসব পদক্ষেপ আমাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। যুবরাজের এ সাক্ষাৎকারের একদিন আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে এক সমাবেশে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক সমর্থন না দেয় তাহলে সৌদি রাজা সালমান ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবকে রক্ষা করছি। আপনারা কী বলবেন তারা ধনী? আমি রাজা সালমানকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি বলেছি,রাজা আমরা আপনাকে রক্ষা করছি। আমাদের সমর্থন ছাড়া আপনি সেখানে দুই সপ্তাহও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাদের সামরিক বাহিনীর জন্য আমাদের অর্থ দিতে হবে।