অনলাইন ডেস্ক: জাতিসংঘের জলবায়ু রিপোর্ট বলছে, আগে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও কঠোর পরিণতির মুখে পড়বে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল সমুদ্র উপকূলীয় দেশগুলো। বাড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, ঘন ঘন খরা, বন্যা ও দাবদাহ দেখা দেবে। রিপোর্টে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আগে ভাবা হয়েছিল শিল্পপূর্ব যুগের তুলনায় তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে সমস্যা কম হবে। কিন্তু নতুন গবেষণা দেখা গেছে দেড় ডিগ্রি বাড়লেই দেখা দেবে বিপর্যয়। আর এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপকূলীয় কৃষি নির্ভর অর্থনীতিগুলো। দিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্টের মহাপরিচালক সুনিতা নারাইন বলেন, ‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পযুগের তুলনায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে কিছুটা বেশি বেড়েছে। এতেই নানা দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে উপকূলীয় দেশগুলোর কৃষি খাত। এটি আরও বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’ বর্তমানে বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ। ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে এই সূচকে কৃষি নির্ভর বদ্বীপ বাংলাদেশকে রাখা হয়েছিল ১ নম্বরে। জাতিসংঘের জলবায়ু রিপোর্ট ২০১৮ অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপকূলীয় কৃষি ও মৎস্য খাত। এতে বাংলাদেশেই কয়েক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সূত্র-বিবিসি, এনডিটিভি।