সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় উদ্ধার হওয়া ৩’শ বিঘা খাস সম্পত্তি দেখভালকারীদের হয়রানির অভিযোগ

By daily satkhira

October 09, 2018

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া সদরের রইচপুরে বিলা আবাদানির ৩’শ বিঘা সম্পত্তির স্থানীয় দেখভালকারী পৌর কাউন্সিলরসহ কয়েকজনকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন । ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন ভাবে আইন শৃঙ্খ্যলা বাহিনীর কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে পলাশপোল মৌজায়, বিল আবাদানি জে এল নং- ৯৪, ডি এস খতিয়ান ১৯৯৪, দাগ নং- ৪২৩১ জমির পরিমাণ ৫২ শতক, ৪২৩৮ দাগে ৭৪ এ কর ৩৪ শতক, ১২৮০ দাগে ১১৮ একর ৪ শতক ৩টি দাগে ১৯২ একর ৯০ শতক সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি ইটাগাছা এলাকার মৃত. মাদার মন্ডলের ছেলে মৃত ইমান আলি মন্ডল ৪১ একর ৩৭ শতক, রইচপুর এলাকার মৃত. আতিয়ার রহমানের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ১২ একর ৩৭ শতক, মাহাজান সরদার গং ১৪ একর ৩৫ শতক, মফিজউদ্দীন গং ২ একর ৬৬ শতক আসমেত খা গং ৮ একর ৬৮ শতক, মহম্মাদ গং ২ একর, আবু তাহের গং ১ একর ৩১ শতক, আলহাজ্ব নুরুল আমিন হাজী গং ১২ একর ২ শতক জমি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ভোগদখল করে আসছিলো। ভূমিদস্যুরা স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি জমি দখলে নিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করছিলো এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে পৌর ৭নং ওয়ার্ডস্থ রইচপুর সাতক্ষীরা মৌজা এলাকা থেকে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করেন সীমানা নির্ধারণ করে দেন। এসময় ১নং খাস খতিয়ানের ৩’শ বিঘা জমি মাপ যোগ করে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড উত্তোলন করা হয়। উদ্ধারকৃত সম্পত্তি রক্ষাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়ার হয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর আলম কালু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী ও আওয়ামীলীগ রুহুল কুদ্দুসসহ স্থানীয় কয়েকজনদের। সে অনুযায়ী ওই উদ্ধারকৃত সম্পত্তি তারা দেখভাল করে যাচ্ছেন। অথচ ইটাগাছা এলাকার মৃত ইমান আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান সুমন,সুলতানপুর এলাকার জুয়েল, নাশকতা মামলার আসামী বিএনপি রইচপুরের মশারফ মাষ্টারের ছেলে কামরুজ্জামান পলাশ, একই এলাকার মহাজন সরদারের ছেলে আলহাজ্ব নূরুল আমিন, দ্বীন মোহাম্মেদ’র ছেলে বিএনপি নেতা মোস্তাক আহম্মেদ, বাগবাটি এলাকার ভদুবাগের ছেলে ভীমবাগ, রইচপুরের আবু সালেকের ছেলে মোহনসহ কয়েকজন প্রায় রাতে ওই স্থানে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন এবং উক্ত সম্পত্তির মাছধরে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এঘটনায় তারা চরমনিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর ও ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধারকৃত ৩’শ বিঘা সরকারি জমি আমার এলাকায় হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে সাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে মৌখিক দায়িত্ব অর্পন করে সরকারি সম্পত্তি দেখভালের জন্য। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি ও আমার লোকজন দায়িত্বের সাথে সরকারি সম্পত্তি দেখভাল করে আসছি। কিন্তু যারা এই সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলে রেখেছিলো তারা নিত্য দিন আমার ও আমার লোকজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এমনকি বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে আমাদের নাজেহাল করে দিচ্ছে। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।