দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ ও সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ১৫ অক্টোবর কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে চলতি মাসের শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করবেন নির্বাচন কশিমনাররা। এজন্য ইসি ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে সময় চেয়ে রাষ্ট্রাপতির কাছে চিঠি দিয়েছে। ইসি কর্মকর্তরা জানান, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একারণে আগামী ১৫ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বসছে কমিশন। ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্তি সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা আগামী বৈঠকে কমিশনকে অবহিত করব। নির্বাচনী সরঞ্জাম ক্রয় বিষয়ে জানানো হবে। এছাড়া ব্যালট মূদ্রণের জন্য কাগজ ক্রয়সহ বিজি প্রেসের সঙ্গে আলোচনা ও প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করা হবে। তবে কোন দিন সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তা বলতে রাজি হয়নি তিনি। গত ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। এবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এজন্য সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরের দিন প্রধান র্নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, অর্থমন্ত্রী ভোটের তারিখ বলে কাজটা ঠিক করেন নি। তবে গত কয়েক মাস ধরেই সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা বলে আসছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় গত ৬ অক্টোবর নির্বাচনী সফরে সুনামগঞ্জে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে- এটা আমরা বলিনি। উনারা উনাদের হিসাব মতো বলেছেন। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে আসন ভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুতি করে সব অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোট কেন্দ্র। এবার মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৯৯টি। ভোট কক্ষ ২ লাখ ৬ হাজার ৫৪০টি। ইতোমধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। ইসির ক্রয় ও মূদ্রণ শাখা সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ৩৪ লাখ ৪০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ৬ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ স্ট্যাম্প প্যাড, ১৭ হাজার ৪২০ কিলোগ্রাম লাল গালা, ৫ লাখ ৭৮ হাজার অফিসিয়াল সিল, ১১ লাখ ৫৬ হাজার মার্কিং সিল, ৮৭ হাজার ১০০ ব্রাশ সিল, ৬ লাখ ৬৫ হাজার অমোচনীয় কালীর কলম কেনা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার রিম কাগজ কেনার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।