সাতক্ষীরা

সাংবাদিকরাই পারে মানবিকতাকে জাগিয়ে তুলতে-সাতক্ষীরার নবাগত ডিসি

By daily satkhira

October 11, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর পরেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সাংবাদিকদের। সাংবাদিকরাই পারে মানবিকতাকে জাগিয়ে তুলতে। দেশ স্বাধীনের সময় পাকিস্তানের অপপ্রচারকে রুখে দিয়েছিল সাংবাদিকরাই। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে সেই সব ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় যারা নতুন আসছে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে আরো বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেশ,জাতি ও জাতির ইতিহাস গঠনে তারা বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে পারবে। সাতক্ষীরায় “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা : ঝুকি চিহ্নিতকরন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রনয়ন ও দায়মুক্তি” বিষয়ক পাঁচ দিনের সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিউজ নেটওয়ার্কের আয়োজনে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় গত ৭ অক্টোবর রোববার সকালে উক্ত কর্মশালাটির উদ্বোধন করা হয়েছিল। নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক শহীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিউজ নেটওয়ার্কের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার, ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম কামরুজ্জামান। কর্মশালায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, ঝুকি চিহ্নিতকরন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও দায়মুক্তি, সাংবাদিকদের নৈতিকতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য, সাংবাদিকদের মৌলিক মূল্যবোধ ও তাদের সুরক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ে পাঁচদিন ব্যাপী এই কর্মশালায় বিস্তর আলোচনা করা হয়। প্রথম পর্বের এই সাংবাদিক কর্মশালায় সাতক্ষীরায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। সমপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে নিউজ নেটওয়ার্কের “ সাপোটিং হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ওয়ার্কিং ফর উমেনস অ্যান্ড গার্লস রাইটস ইন বাংলাদেশ ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরাতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নিউজ নেটওয়ার্ক আগামী তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ করে নারী ও বালিকাদের মানবাধিকার রক্ষায় স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, সব ধর্মের ধর্মীয় নেতা, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বিভিন্ন সময়ে মতবিনিময় সভা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।