অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ আকারে ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত সোমবার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ও উপকূলীয় এলাকায় ভারি বর্ষণ হয়ে চলেছে।
আগামী রোববার পর্যন্ত এ আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারপর তা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে বায়ুচাপের তারতম্য রয়েছে। সাগরের ওই অংশসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার। এর প্রভাবে ওই সব এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কার্যালয়। আগামী দু-একদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. আয়েশা খাতুন বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। তার পরে এখানে প্রেসার গ্রেডিয়েন্ট যেটা, সেটা খুব স্টিফ আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার যে পূর্বাভাস সেখানে আমরা বলেছি যে অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হবে, মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতও হতে পারে। এবং সেইসঙ্গে কিছু জায়গায় হয়তো অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে, বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চলে।’ এদিকে নিম্নচাপের ফলে রাজধানী ঢাকার আবহাওয়াও মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হলেও রোববারের পরে তা আর থাকবে না। এ প্রসঙ্গে আয়েশা খাতুন বলেন, ‘এই যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এই বৃষ্টিপাতের যে অব্যাহত ধারা, সেটা আগামী রোববার, অর্থাৎ ১৪ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তারপর এটা আস্তে আস্তে… আবহাওয়া ভালো হয়ে যাবে।’