অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আশকোনার যে বাড়িটিতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে সেই ফ্ল্যাটটির ভেতরে এত বেশি এক্সপ্লোসিভ রয়েছে যে আমরা ভেতরে ঢুকতে পারছি না। ওই ফ্ল্যাটটির ভেতরে এখনও একজন রয়েছে। সে আহত না নিহত আমরা বলতে পারছি না। আমাদের বম্ব ডেসপোজাল ইউনিট ভেতরে ঢোকার পর এ বিষয়ে জানাতে পারবো। শনিবার ঘটনাস্থলে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়িটিতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সোয়াত টিম। মনিরুল জানান, বাড়িটি থেকে এখন পর্যন্ত চারজন আত্মসমর্পণ করেছে, দু’জন এখনও ভেতরে আছে। তাদের আমরা বারবার আত্মসমপর্ণের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা শোনেনি। তারপর একজন মহিলা এগিয়ে এসে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তার মৃত্যু ঘটে। একটি শিশুও তখন ওই বিস্ফোরণে আহত হয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, বাড়িটির ভেতর থেকে আরেকটা ছেলে সর্বশেষ ১৫-২০ মিনিট আগে গুলি ও গ্রেনেড ছুড়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হন। আমরাও তখন আত্মরক্ষার্থে কাউন্টার অ্যাটাক করেছি। সে ভেতরে পড়ে আছে। সে আহত নাকি নিহত এখনও নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, বাড়িটির ভেতর এত বেশি এক্সপ্লোসিভ রয়েছে যে আমরা ভেতরে ঢুকতে পারছি না। আমাদের বম্ব ডেসপোজাল ইউনিট ভেতরে ঢুকলে পরবর্তী আপডেট দিতে পারবো।