খেলার খবর: আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-২০’র এশিয়ান অঞ্চলের কোয়ালিফায়ারে দ্রুত ম্যাচ শেষ করার অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে৷ কিছুদিন আগেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ বলে ম্যাচ জিতে নেয় মালয়েশিয়া৷ সপ্তাহ যেতে না যেতেই আরও ২টি টি-২০ ম্যাচের নিস্পত্তি হয়ে যায় ২০ বলের আগেই৷
মায়ানমারের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া জিতেছিল ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে৷ সেক্ষেত্রে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছোট করে দিয়েছিলেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা৷ প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার সুযোগ ছিল না প্রকৃতি বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়৷ তবে চীনের বিরুদ্ধে নেপালের ১০ উইকেটে জয় তুলে নেওয়ার পিছনে প্রকৃতি বা ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মকে কোনও ভাবেই দায়ি করা যাবে না৷ পুরো কৃতিত্বটাই দাবি করতে পারেন নেপালি ক্রিকেটাররা৷
টসে জিতে নেপাল প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় চীনকে৷ কোন রকমে ১৩ ওভার ক্রিজে কাটিয়ে চিন অলআউট হয়ে যায় ২৬ রানে৷ মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান খাতা খোলার সুযোগ পান৷ ওপেনার হং জিয়াং করে ১১ রান৷ চেন জিনফেং ১ রান করে আউট হন৷ দেংঝি মা ৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন৷ দলের আটজন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সংগ্রহ শূন্য৷ নেপালের লামিছানে, রাজবংশী ও রেগমি তিনটি করে উইকেট ভাগ করে নেন নিজেদের মধ্যে৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেপাল ১.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়৷ ওপেন করতে নেমে ভান্ডারি ৮ বলে ২৪ ও আইরি ৩ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন৷ অর্থাৎ মাত্র ১১ বলেই আইসিসি অনুমোদিত টি-২০ ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব অর্জন করে নেপাল৷
চীন অবশ্য সস্তায় অলআউট হওয়ার দৌড়ে বাকিদের থেকে বেশ কয়েক পা এগিয়ে রয়েছে৷ কেননা ঠিক পরের ম্যাচেই মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা৷ এবার চিনা ইনিংস স্থায়ী হয় ১০ ওভার৷ আটজন থেকে শূন্য রান করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় পাঁচে৷ পাল্টা ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়া ৩ ওভার, অর্থাৎ ১৮ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩১ রান তুলে নেয়৷
টুর্নামেন্টের ছ’টি ম্যাচে চীনের স্কোর যথাক্রমে ৩৫/৯ (বনাম থাইল্যান্ড), ৪৫ (বনাম ভুটান), ২৬ (বনাম সিঙ্গাপুর), ৪৮ (বনাম মায়ানমার), ২৬ (বনাম নেপাল) ও ৩০ (বনাম মালয়েশিয়া)৷ থাইল্যান্ড ম্যাচ জেতে ১৬ বলে৷ এছাড়া ভুটান ২৩ বলে, সিঙ্গাপুর ১৫ বলে এবং মায়ানমার ৪৭ বলে জয় তুলে নেয়৷