কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেবহাটা উপজেলা ও থানা প্রশাসন সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরবিচ্ছিন্ন তৎপরতার চলছে। অন্যদিকে এগিয়ে চলেছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। তুলির শেষ আঁচড়ে দেবীর আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। প্রতিমার মাটির কাজ শেষে এখন চলছে রং তুলির আঁচড়ের শেষ মূহুর্তের কাজ। আর মাত্র ২ দিন পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দূর্গোৎসব। এবার শান্তির বার্তা নিয়ে আসছেন দেবী দুর্গা। এ উপলক্ষে দম ফেলার যেন সময় নেই প্রতিমা শিল্পী ও কারিগরদের। আগামী ১৪ অক্টোবর ষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এবছর উপজেলার ২১ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে বলে জানা গেছে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে যে ২১ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা দূর্গাপূজা মন্ডপ, কুলিয়া ঘোষপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, শ্যামনগর পশ্চিমপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, বালিয়াডাঙ্গা দূর্গাপূজা মন্ডপ, হিজলডাঙ্গা দূর্গাপূজা মন্ডপ, শ্যামনগর পূর্বপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ ও সুবর্নাবাদ দূর্গাপূজা মন্ডপ, পারুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসখোলা সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্ডপ, উত্তর পারুলিয়া চারা বটতলা দূর্গাপূজা মন্ডপ, দক্ষিন পারুলিয়া জেলেপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, নোড়ারচক দূর্গাপূজা মন্ডপ, বড়শান্তা দূর্গাপূজা মন্ডপ, মাঝ পারুলিয়া দূর্গাপূজা মন্ডপ ও উত্তর কোমরপুর দূর্গাপূজা মন্ডপ, সখিপুর ইউনিয়নের পালপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, কোড়াঁ পাকড়াতলা দূর্গাপূজা মন্ডপ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের গাজীরহাট দূর্গাপূজা মন্ডপ, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ফুটবল মাঠ দূর্গাপূজা মন্ডপ, দেবহাটা বাজার দূর্গাপূজা মন্ডপ, টাউনশ্রীপুর দূর্গাপূজা মন্ডপ ও টাউনশ্রীপুর পালপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ। ইতিমধ্যে পূজা উদযাপনে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বিভিন্ন আয়োজন সম্পন্ন করছে। কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীতে। কোন কোন কারিগরেরা একাধিক স্থানে প্রতিমা তৈরী করছেন। এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। যাবেনও ঘোড়ায়। তাই সামান্য অবসর নেই এখন প্রতিমা শিল্পী আর কারিগরদের। প্রতিমা শিল্পীরা জানান, সময় যেহেতু আর নেই তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে চলেছেন তারা। তাছাড়া নিখূঁত মূর্তি তৈরীতে করণীয় সব রকম উপকরন ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলো জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এসব প্রতিমার কাজগুলো ষষ্ঠির আগে শেষ করতে হবে। দূর্গা প্রতিমা তৈরীতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে তারা জানান। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে পূজা উদযাপনে আইনশৃ্খংলা শান্তিপূর্ন রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। দেবহাটা থানার সৈয়দ মান্নান আলী জানান, এবছর দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে আইনশৃ্খংলা বাহিনী সদা তৎপর। ইতিমধ্যে উপজেলার মধ্যে ৩/৪ টি মন্ডপে জনসমাগম বেশী হওয়ার জন্য সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ন ও নির্বিঘেœ উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।