নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের দক্ষতায় ভারতের পতিতালয় থেকে উদ্ধার হলো এক কিশোরী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানায় আনা হয়। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক শরিফ এনামুল ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে জানান, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সোনাতনকাটি এলাকার মোস্তাক মোড়ল ওরফে কিল্লার ছেলে সাগর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজার এলাকার ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় ৬ মাসের প্রেমের সম্পর্কচালিন সময়ে সাগর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখাই এবং সাগর তাকে ভারতে নিয়ে বিয়ে করবে তাকে রাজি করায়। এক পর্যায়ে গত ৮সেপ্টেম্বর’১৮ তারিখ সাগরের কথামত কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়ে সাত মাইল মোড়ে সাগরের সাথে দেখা হয়। সেসময় সাগর, আসিফ, আহাদসহ মোট ৫জন তাকে রিসিভ করে। শার্শা উপজেলার কালিন্দি এলাকার সুজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই রাতে সাগর ওই কন্যার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং পরদিন তার ফুফুর বাড়ি গিয়ে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হবে বলে জানায়। এভাবে সুজনের বাড়িতে ৭দিন তাকে রাখার পর সাগর বলে নদীর ওপারে ফুফুর বাড়ি, সেখানে গিয়ে তাদের বিবাহ হবে। কিশোরীটি তার কথামত সুজনের সাথে নদী পার হয়ে ওপারে গিয়ে তার ফুফুকে পায়নি। তাদের বিবাহও হয়নি। পরে তাকে সোনাগাছি পতিতালয়ে ২লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়। এরপর তার উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর কন্যাটি এক খোদ্দেরের মোবাইলের মাধ্যমে তার পিতা-মাতার কাছে ফোন করে। তার পিতা মাতা সদর থানায় এসে পরিদর্শক শরিফ এনামুলকে জানান। পরিদর্শক এনামুল অত্যান্ত দক্ষতার সাথে ওই মেয়েটির সাথে মোবাইলে কথা বলে ভারতে বসবাসরত এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করেন। সে অনুযায়ী মেয়েটি কৌশলে পালিয়ে ওই বন্ধুর ঠিকানায় পৌছালে তিনি গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পাঠালে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানায় আনা হয়। ১৩ অক্টোবর মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ অক্টোবর তার ১৬৪ ধারায় জবাব বন্দি নেওয়া হবে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে।