ফিচার

রব ও মান্নার বিয়ে যুক্তফ্রন্টে, পরকীয়া ঐক্যফ্রন্টে: মাহী বি

By Daily Satkhira

October 13, 2018

রাজনীতির খবর: জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ না করায় বিএনপির সমালোচনা করে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি এখানে জাতীয় ঐক্য করে, আর ২০ দলীয় জোটে জামায়াতের সঙ্গে পরকীয়া করে। অন্যদিকে, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব আর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মূল বিয়ে হচ্ছে এখানে- যুক্তফ্রন্টে। আর তাদের পরকীয়া হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহী বি চৌধুরী বলেন, আমরা এখনও জাতীয় ঐক্য থেকে সরে যাইনি, আর তারা আমাদের বাদ দিয়েছেন কিনা তা-ও জানি না। যদি বাদ দিয়ে থাকেন, তাহলে তো অবশ্যই পরিষ্কারভাবে জানাবেন। তবে আমাদের কথা পরিষ্কার- বিএনপি বা কোনও দলকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্য নিয়ে আমরা কোনও ঐক্য করবো না।

অন্যদিকে বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিকল্পধারা ঐক্য করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য করতে প্রথম শর্ত হলো, স্বাধীনতাবিরোধীদের ত্যাগ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ও রাজনীতিতে ভারসাম্য আনার সুষ্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।’ শনিবার রাতে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী বলেন, এক স্বৈরাচারকে বিদায় করে আরেক স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় আনা যাবে না। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কিংবা দেশের বিদ্যমান এই দুরবস্থার কখনও পরিবর্তন হবে না। কাজেই কোনও দল যাতে এককভাবে ক্ষমতায় আসতে না করতে পারে, দেশে ও জনজীবনে যাতে পুনরায় আর স্বৈর সরকারের আবির্ভাব না ঘটে সেজন্যেই আমরা রাজনীতিতে ভারসাম্য আনার কথা বলেছি। যতদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় ভারসাম্য না আসবে, ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে ইতিবাচক কোনও পরিবর্তন আসবে না। বি চৌধুরী বলেন, ‘যারা এ দেশের মানচিত্রে বিশ্বাস করে না, এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না- তাদের সঙ্গেও আমাদের কোনও ঐক্য হতে পারে না।’ সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনেন বি চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই ঐক্য প্রক্রিয়ার কাজ করে যাচ্ছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বৈঠকের। সেই বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দেওয়ার কথা। কিন্তু বিকেলে আমি তার বাসার সামনে গিয়ে ১৪ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তিনিও বাসায় ছিলেন না, দরজা খোলারও কোনও লোক ছিল না। ভেতরে নিয়ে বসিয়ে যে এক কাপ চা খাওয়াবে সে লোকটাও পর্যন্ত ছিল না। অপেক্ষা শেষে যখন ফিরে আসছিলাম তখন তার দলের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু ফোন দিয়ে বলেন যে, আপনারা মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে চলে আসেন। কিন্তু তবুও ড. কামাল এখন পর্যন্ত (রাত ৮টা) একটা ফোনও করেনি। তিনি তো বলতে পারতেন, সরি… আমি একটা জরুরি কাজে চলে এসেছি। বড় ভাই আপনি বসে এক কাপ চা খান, আমি আসছি। কিন্তু তিনি এটা বলার কোনও প্রয়োজনই মনে করেননি। কাজেই সাধারণভাবেই প্রশ্ন ওঠে- এটা কি তাদের পরিকল্পিত?