আসাদুজ্জামান: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জরার্জীর্ণ পরিত্যক্ত সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটটি অবশেষে সোমবার সকালে ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে, নিউমার্কেটের জুয়েলার্সের দোকানসহ বিভিন্ন বিপনি বিতান গুলো থেকে মালামাল সরানোর আগেই বুলড্রেজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলায় ব্যাবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও পৌর সভার পক্ষ থেকে নিয়ম নীতি মেনে ও নোটিশের সাথে সাথে গত রবিবার মাইকিং করার পর তা ভাঙা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। জানানযায়, ৩০ বছর আগে নির্মিত সাতক্ষীরা পৌরসভার নিয়ন্ত্রনাধীন নিউ মার্কেটটি গত বছরের ৪ এপ্রিল জনস্বার্থে অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পরে ব্যবসায়ীরা আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ায় নিউমার্কেট ভাঙার কাজ পিছিয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের মামলা নিন্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু গত ৮ অক্টোবর উচ্চ আদালতে করা ব্যবসায়ীদের রিট খারিজ হওয়ায় পৌর সভা নিউ মার্কেটটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ও মানুষের প্রাণহানী ঠেকাতে গত ০৫ অগস্ট রাত ১০টা থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেটে প্রধান গেটে ও সকল দোকানে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকবার নোটিশ ও মাইকিং করে দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়। এর পরেও নিউ মার্কেট ব্যবসায়ীরা কোন কর্ণপাত না করে মালামাল সরিয়ে নেয়নি। রিট খারিজ হওয়ার পর সাতক্ষীরা পৌরসভার পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের রায় নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও সদর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকালে নিউ মার্কেটের পুরনো ভবনটি পৌরসভার তত্বাবধানে ভাঙার কার্যক্রক্রম শুরু করে। ভবন ভাঙা চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীরা অন্যত্রে মালামাল ব্যস্ত সরিয়ে নিতে দেখা য়ায়। এরপর পৌরসভার পক্ষ থেকে মানবিক কারনে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্যা, পৌর প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, কাজী ফিরোজ হাসান, পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, ফারহা দীবা সাথী, অনিমা রাণী মন্ডল প্রমুখ। নিউ মার্কেটের আমিন জুয়েলার্সের মালিক মনিরুজ্জামান মনি জানান, তাদেরকে মালামাল বের করার সময় দেয়া হয়নি। এখন দোকানের এত টাকার মালামাল কোথায় রাখবেন আবার ডাকাতিরও ভয় রয়েছে। এদিকে পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট সাতক্ষীরার জন্য একটা দর্পণ। দীর্ঘ দিন ধরে আইনি জটিলতায় পিছিয়ে ছিল। এখন ক্লিয়ারেন্স পেয়ে ভাঙা শুরু করা হয়েছে।