অনলাইন ডেস্ক: কোনও আসামির সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রীতি বিলুপ্ত করার জন্য বাংলাদেশ সকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ যেকোনও পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের ঘোর বিরোধী বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রবিবার (১৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ঢাকায় অবস্থানরত ইইউ রাষ্ট্রদূতরা। বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডবিরোধী বিশ্ব দিবস পালন হয় প্রতি বছরের ১০ অক্টোবর। কিন্তু এ বছর সেই ১০ অক্টোবরেই আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলায় বাংলাদেশে ১৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ বিবৃতি দিয়েছেন- ইইউ ডেলিগেশন এবং ইতালি, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও ব্রিটেনের মিশন প্রধানরা। মৃত্যুদণ্ডকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তি দাবি করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধীকে তার ভুল শোধরানোর সুযোগ দেয়া উচিত। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড সেই সুযোগ কেড়ে নেয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার পরিপন্থি। ইইউ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইইউ বলছে, বিলুপ্তকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার আপাতত আদালতের দেয়া সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডাদেশগুলো রহিত করতে পারে। উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বুধবার (১০ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এর আদালত। ৪৯ আসামির মধ্যে বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। অন্য মামলায় এরইমধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তিনকে অব্যাহতি দেন আদালত। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানও ২১ আগস্ট গ্রেডেন হামলায় জড়িত ছিলেন।