দেশের খবর: প্রতীকী হাত ধোয়া কর্মসূচির মাধ্যমে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০১৮’ পালন করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও আলোচনা সভাসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে দেশজুড়ে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রতীকী হাত ধোয়া কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথিরাও অংশ নেন। এবার বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘হাত ধোব নিয়মিত, থাকব সবাই স্বাস্থ্যসম্মত।’ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকাল ৩টায় ‘বিশ্ব হাত ধোয়া কর্মসূচি-২০১৮’ এর উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ-বাংলাদেশের প্রতিনিধি সুমি চক্রবর্ত্তী এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমানসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধিরা। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশে প্রতি ৮৭ জনের জন্য একটি সরকারি পানির উৎস রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সরকার বিগত ১০ বছরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎসের জন্য প্রায় ৩ লাখ হ্যান্ড টিউবওয়েল এবং ১ হাজার ১৬৬টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করেছে। নিরাপদ পানির উৎসবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ হাজার ১৮৪টি টিউবওয়েল ও ২৬ হাজার ৮০৯টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করেছে। সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে খুবই আন্তরিক। পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সে লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।