বিনোদনের খবর: নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বর্তমান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের। তার লেখা অনবদ্য নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’-এ নূর অভিনীত ‘বাকের ভাই’ চরিত্রটি আজও আলোচ্য বিষয়। এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’সহ অসংখ্য নাটকের নানা চরিত্রে পাওয়া গেছে আজকের সংস্কৃতিমন্ত্রীকে। তবে এতসব চরিত্রের ভিড়ে এই কিংবদন্তির প্রচণ্ড ইচ্ছে ছিল ‘মিসির আলি’ চরিত্রে অভিনয় করার। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি জনপ্রিয় এই চরিত্রে অভিনয় করার বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে আলাপও হয়েছে। অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদের কাছে মিসির আলি নিয়ে কাজ করার বিষয়ে সরাসরি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নূর। হুমায়ূন আহমেদ নিজেও নূরের এমন আগ্রহে সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। তবে চরিত্রটি এবার পর্দায় আসছে। আর তা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ১৫ অক্টোবর ‘দেবী’ ছবির সংবাদ সম্মেলনে নিজের চরিত্রটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করেন চঞ্চল চৌধুরী। তার ভাষ্য, ‘‘সেদিন একটা কারণে নূর ভাই ফোন করেছিলেন। প্রথম কথাটিই তিনি বলেন, আমি শুনেছি ‘দেবী’র কথা। তুমি মিসির আলি চরিত্র করছো। আশা করি এটা ভালো হবে। তোমার অভিনয় আমার ভালো লাগে।’’ চঞ্চল আরও বললেন, ‘নূর ভাই এরপর যেটা বললেন সেটা শুনে একটু অবাক হলাম। তিনি বললেন, মিসির আলি চরিত্রে কাজ করার খুব ইচ্ছে ছিল আমার। হুমায়ূনকে বলেও ছিলাম মিসির আলি তৈরি করো। আমি এই চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। সে বেঁচে থাকলে এতদিনে হয়তো হতো।’ চঞ্চল আরও যোগ করে বলেন, ‘‘যা হোক তাঁর (আসাদুজ্জামান নূর) ইচ্ছে ছিল মিসির আলি চরিত্র করার। তবে তিনি আমার জন্য আশীর্বাদ করেছেন। ‘দেবী’র জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।’’ ১৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়া আহসান, শবনম ফারিয়া, অনিমেষ আইচ, ছবির পরিচালক অনম বিশ্বাসসহ অনেকে। আয়োজনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। উপস্থাপনা করেন রুম্মান রশীদ খান।
‘দেবী’ জয়া আহসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি-তে সিনেমা’র প্রথম সৃষ্টি। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পরিচালনা করছেন অনম বিশ্বাস। একইভাবে চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে শবনম ফারিয়ার। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্র রানু হিসেবে আছেন জয়া। আরও অভিনয় করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইরেশ যাকের। ছবিটি সরকারি অনুদানে নির্মিত।