রাজনীতি

একটি ছবি ও নেত্রীর প্রতি সম্মান নির্ধারণ করতে পারে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফল

By Daily Satkhira

December 27, 2016

আমির হোসেন খান চৌধুরী: রাত পোহালেই সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচন। আর নির্বাচনে দুর্নীতি অনিয়মের পাশাপাশি আ.লীগের প্রতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি, আ.লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সম্মানর প্রতি মনে প্রাণে আনুগত্যের বিষয়টি জয়-পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল শেষ মুহুর্তে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলেও সন্দেহ করছেন জনপ্রিয় প্রার্থীদের কেউ কেউ। তবে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অর্থের চেয়ে সম্মানকে গুরুত্ব দেবেন। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আ.লীগ সভাপতি মুনসুর আহমেদ। আর তার বিপরীতে তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। দুর্নীতি-অনিয়ম, নেতা-কর্মীদের প্রতি আন্তরিক আচরণের পাশাপাশি উঠে এসেছে দলের সভানেত্রী প্রতি ভালোবাসার বিষয়টিও। গত কয়েকদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশে আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সাতক্ষীরার অনেকেই একটি ছবিকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোচনা করছেন। আর সেটি হলো- আলীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের ব্যক্তিগত অফিসে বসা জেলা আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের একটি ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুনসুর আহমেদ গভীর দুঃশ্চিন্তা নিয়ে আব্দুর রউফের সামনে বসে আছেন। সাধারণভাবে এ ছবি নিয়ে আলোচনার কোন কারণ না থাকলেও। একটি পুরনো ক্ষত থেকে আ.লীগ নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে নানা কমেন্ট করছেন। আর তা হলোÑ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সাতক্ষীরায় এক প্রকাশ্য জনসভায় আ.লীগ নেতা-কর্মীদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আব্দুর রউফের দেয়া অশ্লীল এবং আপত্তিকর বক্তব্য, যা শেখ হাসিনা নিজেও অবগত আছেন। কারও সাথে কারও ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে কিন্তু রউফের অফিসে দলীয় জেলা সভাপতির জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তের গোপন বৈঠক তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। উল্লেথ্য, আব্দুর রউফ এ নির্বাচনে ভোটারও নন। অন্যদিকে, বিগত পাঁচ বছর জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে জেলা পরিষদের গাছ কেটে বিক্রি করে লুটপাট, বছরের পর বছর সামান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও দুর্নীতিবাজ মাহাবুবর রহমান কর্তৃক জেলা পরিষদকে প্রায় ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান-ইউপি সদস দের সাথে দুর্ব্যবহার করা। জলবায়ু ট্রাস্টের গৃহনির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতিÑ এ নিয়ে হাইকোর্টে  রিটকারিদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-লের বাড়িতে হামলা চালানো,  জেলা পরিষদের জায়গা ইজারা দেওয়ার দুর্নীতি, পুকুর, খেয়াঘাট, এডিবি’র অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে সিডিউল বিক্রিতে অনিয়মসহ মন্দির, মসজিদ, ঈদগাহ ও শ্মশান সংস্কারের টাকা বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এসব বিষয় আগামিকালের নির্বাচনে জয় পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।