কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জের ১৪ টি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন রুহুল হক

By daily satkhira

October 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা ০৩ আসনের জাতীয় সাংসদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমস্ত্রী প্রফেসর ডা: আ ফ ম রুহুল হক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে কালিগঞ্জের চম্পাফুল, নলতা, তারালী ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ১৪ টি দূর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত। “বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।” সুষ্ঠুভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব সম্পন্ন হোক। কারণ অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই আদর্শ নিয়েই জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি উৎসবের সাফল্য কামনা করে বলেন, “এখানে আমরা সবাই যার যার ধর্ম পালন করব। ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সকলের। “প্রত্যেকটা উৎসবে সবাই ভাইবোনের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই উৎসবটা উদযাপন করে যাব।” সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি বছর দেশে পূজা মণ্ডপ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে রুহুল হক বলেন, “প্রতি বছর পূজার সংখ্যা বাড়ছে। এখন আমার নির্বাচনী এলাকা (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জের একাংশ) (সাতক্ষীরা-৩) আসনে ১৪৩ টি মণ্ডপে মণ্ডপে পুজো হচ্ছে। “আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে এখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগণ তারাও সহায়তা করে যাচ্ছে।” পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে সাথে ছিলেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আসাদুর রহমান সেলিম, চম্পাফুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মতিয়ার রহমান ও আব্দুল লতিফ, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাইফুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।