অনলাইন ডেস্ক: সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত সৌদি কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে প্রচলিত ‘কূটনৈতিক সুরক্ষা’ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান, সংস্থার প্রধান মিশেল্লে বাচেলেট। বাচেলেট বলেন, ‘আমি মনে করি জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার ঘটনার গুরুত্ব এবং প্রেক্ষিত বিবেচনা করে ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশান অনুযায়ী প্রদত্ত কূটনৈতিক সুরক্ষা শিথিল করা উচিৎ।’ বাচেলট বলেন, দুই সপ্তাহ মানে অনেক দেরি। অথচ এখনও খাশোগি ইস্যুতে কোন সুরাহা আসেনি।
দ্রুত খাশোগির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ এ মানবাধিকার কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা পরিষ্কার সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন খাশোগি। সুতরাং তার ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা জানানোর দায় সৌদি আরবের।’
সোমবার খাশোগির খোঁজে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে অভিযান চালিয়েছে তুরস্কের ফরেনসিক পুলিশ। একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভাড়াটে খুনিরা কাশোগি হত্যায় জড়িত থাকতে পারে।’ অক্টোবরের ২ তারিখে কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তুরস্ক বলছে একইদিন সৌদি আরব থেকে ইস্তাম্বুল আসা সৌদি গোয়েন্দাদের ১৫ সদস্যের একটি দল কনস্যুলেটের ভেতরে ঢুকে খাশোগিকে খুন করেছে। তবে সৌদি আরব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, কাজ শেষে কনস্যুলেট ত্যাগ করেছেন খাশোগি। যদিও দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেনি দেশটি। খাশোগি দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি।