বিদেশের খবর: সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রই ইরানে রাসায়নিক হামলার অন্যতম উস্কানিদ্বাতা বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি।
সোমবার ইরানে প্যান-এশিয়া প্যাসিফিক কংগ্রেস অন মিলিটারি মেডিসিন সংক্ষেপে আইসিএমএম’র চতুর্থ সম্মেলন বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাসায়নিক হামলার সবচেয়ে বড় শিকার হতে হয়েছে ইরানকে। সাদ্দামের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় ইরানের বিরুদ্ধে ৫৭০ বারের বেশি রাসায়নিক বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সাদ্দামের রাসায়নিক হামলার বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর জন্য কোনো বৈঠকও ডাকেনি।
সিরিয়ায় কেমিক্যাল হামলার অভিযোগ তুলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরব হলেও ইরানের কেমিক্যাল হামলার সময় গোটা যুক্তরাষ্ট্র চুপ ছিল উল্লেখ করে বেশ কিছু দিন আগে বলে আলজাজিরা বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
ইরানের বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় ট্রাম্পের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কপটতা ফুটে উঠেছে। ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরাকি বাহিনী বহুবার ইরানে কেমিক্যাল হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় কেমিক্যাল হামলায় ইরানের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার সেনা সদস্য ও সাধারণ নাগরিক মারা যায়।
কিন্তু ইরাক যখন ইরানে হামলা চালিয়েছিল তখন যুক্তরাষ্ট্র চুপ ছিল। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নীরবে ইরাককে উৎসাহিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের (জিআইআইডিএস) বিশেষজ্ঞ রেজা নাসরি। তিনি বলেন, ইরানে কেমিক্যাল হামলার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, সিরিয়ায় কেমিক্যাল হামলার অভিযোগ এবং যে মানবতার কথা যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তা সঠিক না।’
ওয়াশিংটনকেন্দ্রিক আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক দারিয়েল কিম্বল বলেন, ইরানের উচিত তার অভিজ্ঞতা সিরিয়ায় কাজে লাগানো। যাতে সিরিয়ায়ও ইরানের মতো কেমিক্যাল হামলার ঘটনা না ঘটে।