অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি সময়ে ডায়াবেটিস রোগটি কথা এখন অনেকের মুখে শোনা যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাবার খাওয়া, ঘুমসহ বিভিন্ন অভ্যাস ডায়াবেটিস রোগের কারণ হতে পারে। তবে নিয়ন্ত্রিতও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থ মানুষের মতোই বাঁচা যায়। নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ডায়াবেটিসের রোগীরা বিভিন্ন জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। সঠিক খাদ্যভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। টমেটো আমাদের জন্য খুবই পরিচিত একটি খাবার। সালাদে, ডালে বা তরকারিতে অনেকেই তা পছন্দ করেন। এর পাশাপাশি তা ডায়াবেটিস রোগীর ব্লাড সুগার কমাতেও কাজ করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়। ২০০ গ্রাম কাঁচা টমেটো প্রতিদিন খাওয়া হলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের যে ঝুঁকি থাকে তা কমাতেও টমেটো কাজে আসে। ডায়াবেটিস রোগীর উপকারে আসে হোল গ্রেইন, ডাল, ফল ও সবজি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ একটি সবজি হলো টমেটো।
টমেটোর পুষ্টিগুণ টমেটোর পুষ্টিগুণ হিসেব করলে তা অনেক রোগের জন্যই উপকারি। এতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন। লাইকোপিন একটি রঞ্জক পদার্থ যার কারণে টমেটো লাল দেখায়। এই লাইকোপিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে।
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা টমেটো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। ডায়াবেটিসের রোগীদের শর্করার বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। শর্করা তাদের ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয় দ্রুত। টমেটোতে শর্করা কম এবং এ কারণেই ডায়াবেটিস রোগীরা তা খেতে পারেন নির্দ্বিধায়।
ওজন কমাতে শুধু কার্বোহাইড্রেট নয়, টমেটোতে ক্যালোরিও অনেক কম। ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। আর তাই ওজন কম রাখতে টমেটো তাদের জন্য উপকারি একটি খাবার।
ডায়াবেটিস রোগীরা যে কোনোভাবেই টমেটো খেতে পারেন। তা সালাদ হিসেবে কাঁচা খাওয়া যায়, আবার ডাল, তরকারি, স্যুপ বা স্যান্ডউইচে দিয়েও খেতে পারেন।