নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মানুষ পরাভয় মানে না। তারা সব দুর্যোগ সব অনিয়মকে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে উল্লেখ করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি বলেন ২০০৯ সালে সাতক্ষীরায় আছড়ে পড়া ভয়াবহ আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ নিজেরা দুই হাতে চরের মাটি তুলে বাড়ি তৈরী করেছে। তাদের পেটে খাবার নেই, পিপাসা নিবারনে পানিও নেই। সরকারি কোনো সাহায্য ততক্ষনে না পৌঁছালেও এর তোয়াক্কা না করেই তারা আইলা মোকাবেলা করার শক্তি ও সামর্থ দেখিয়েছে। তিনি বলেন বিশ্বব্যাপী এই ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। অথচ এই ঘটনার কিছুদিন পর হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সেখানকার মানুষ লুঠপাটে নেমেছিল। এমনকি আমেরিকায় আঘাত হানা ‘মাইকেল’এ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ট্রাম্প সরকারের সাহায্যের আশায় এখনও বসে রয়েছে। আমরা এমনই এক বাংলাদেশে বাস করি যেখানকার মানুষ সব আঘাত সহ্য করেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস দেখায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আফম রুহুল হক বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক অনির্ধারিত কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন বাংলাদেশ প্রমান করেছে যে দেশটি আত্মনির্ভর হতে চায়। এই দেশ ও জাতির রয়েছে অগাধ আত্ম বিশ্বাস। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ থিম সে সময়কার মিডিয়া যথাযথভাবে প্রচার করেছিল। এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মিডিয়ার ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ন। আর একারনে জাতি হিসাবে আমরা বাঙ্গালিরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পেরেছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দেশের যুবসমাজ এখন উন্নয়নের ধারায় কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাকে বুঝতে হবে , জানতে হবে এবং মিডিয়ার মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বহুদূর এগিয়েছে। আরও কিছুদিনের মধ্যে সাতক্ষীরার মত প্রত্যন্ত এলাকায়ও মানুষ উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা লাভ করতে পারবে। তবে চিকিৎসালয়গুলিতে নানা অব্যবস্থাপনা, সেবা না পাওয়া সহ নানা সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ডাক্তারের পদ রয়েছে। সরকার বেতন দিয়েছে অথচ সেখানে ডাক্তার নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। তবেই তাদের স্বাস্থ্যসেবা বহুলাংশে নিশ্চিত করা যাবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ নিয়ে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অতি উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম এসেছে। তার পরও সেবা প্রদানে পশ্চাদপদতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন ধীরে ধীরে এসব ঘাটতি পূরনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ সম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর কল্যান ব্যানার্জী, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সাবেক সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক দৃষ্টিপাতের নির্বাহী সম্পাদক আবু তালেব মোল্লা, দৈনিক ভোরের কাগজের ড. দিলীপ কুমার দেব, দৈনিক সুপ্রভাত এর নির্বাহী সম্পাদক তানজির আহমেদ প্রমুখ সাংবাদিক। ডা. আ ফ ম রুহুল হক মতবিনিময় সভায় আরও বলেন, প্রেসক্লাবের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নয়ন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমিও এই উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই।