দেশের খবর: ভোট এলেই বাড়ে জোটের সংখ্যা। এবারও ব্যতিক্রম নয়। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জোট-মহাজোট গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোতে নীরব প্রতিযোগিতা চলছে। নিজেদের ঐক্য অটুট রেখে অন্য জোট ভাঙতে নানা কৌশল প্রয়োগে ব্যস্ত নেতারা। ফলে জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক দল। এতে যেমন এক দিকে ভাঙছে, তেমনি অন্য দিকে গঠিত হচ্ছে নতুন জোট। নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে অনেক দল নতুন করে জোট বাঁধার পরিকল্পনা আঁটছেন। এ অবস্থায় ভোটের মাঠে গুরুত্বহীন অনেক দল প্রধান দুটি রাজনৈতিক ধারার একটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে মরিয়া। যে কোনো ভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। ফলে আদর্শ নয় জোটের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতি। নিজের পায়ে ভর করে ছোট দলগুলোর নেতারা ক্ষমতায় যাবেন বা এমপি হবেন এমন সুযোগ খুব বেশি নেই। তাই তারা জোট-মহাজোটের সান্নিধ্যে থেকে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে তারা এক জোট ছেড়ে অন্য জোটে ভিড়েন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জোটমুখী রাজনীতিতে আদর্শের চেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ। অতীতে যেসব দলের মধ্যে ঐক্য হয়েছে তাদের মধ্যে নানা দিক দিয়ে ন্যূনতম মিল ছিল। পুরোপুরি না হলেও নেতারা আদর্শের কাছাকাছি ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই ধারা প্রায় বিলুপ্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভোট এলেই জোট বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ জোট হওয়ার পেছনে আদর্শের কোনো প্রেরণা কাজ করে না। ছোট দলগুলো বড় দলের আশপাশে, বিশেষ করে যাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে ঐক্য প্রক্রিয়া বা ২০ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া বা ১৪ দলে ভেড়ানোর কথা বলি সব কিছুর পেছনেই কাজ করে স্বার্থ। আদর্শ এখানে কার্যকর নয়।
শাসক দল সূত্রে জানা গেছে, এ মুহূর্তে অনেক দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিতে চাচ্ছে। এতে তাদের জোটের আকার বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বৃহৎ আকারের জোট নিয়ে মাঠে নামতে পারে দলটি। যারা আসতে চাচ্ছে তাদের নিয়ে কাজ করার জন্য একাধিক নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা আগ্রহী এবং জোট ছুট দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন। বাম ও ইসলামী ভাবধারার কয়েকটি জোটও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তবে বিএনপি ও ড. কামালের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘নির্বাচনী ঘোষণা’ না আসা পর্যন্ত জোটের, ভোটের ও আসন বণ্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দেবে না শাসক দল। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়াতে কাজ করছে বিএনপি। জোট থেকে অন্য কোনো দল যাতে বেরিয়ে না যায় সেজন্য নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
জোটের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আরও বড় হতে পারে। অনেকেই জোটে আসতে চাইছে। অনেকেই আবার নিজেরাই আলাদা জোট গঠন করতে চাচ্ছেন। এরা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গেই থাকবে না। এমন জোটও হতে পারে। তফসিলের আগে আগে সব কিছু পরিষ্কার হবে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, জোট- মহাজোটের রাজনীতি আমি খারাপভাবে দেখছি না। তবে এক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম আদর্শিক মিল থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা গেছে, অনেক দল আদর্শের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থেই বিভিন্ন জোটে ভিড়ছে। তিনি বলেন, ২০ দল অটুট আছে। এ জোট ভাঙছে না। ব্যক্তি স্বার্থে দু-একজন চলে গেলেও তার কোনো প্রভাব জোটে পড়বে না। দুটি দল যে অভিযোগে জোট ছেড়েছে তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এখনও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। আসন ভাগাভাগির প্রশ্ন আসছে কেন।
জানা গেছে, দেশে জোটবদ্ধ রাজনীতির ইতিহাস বেশ পুরনো। সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য নিয়ে নতুন এ জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে সম্প্রতি ধর্মভিত্তিক নতুন জোট হয়েছে। নাম ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। এর আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল এবং বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট গঠন হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে আছে সম্মিলিত জাতীয় জোট।
তিন বড় দলের বাইরেও একাধিক জোট গঠিত হয়েছে। নতুন জোট গঠিত হচ্ছে। অনেক দল আছে যারা এখনও কোনো জোটে যোগ দেয়নি। কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এমন একটি দল। দলটি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যোগ দেয়নি।
বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টে তার যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো জোটে যোগ দেন কিনা তা সময় বলে দেবে। বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাসদ (রব) সভাপতি আ স ম রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নিয়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে নতুন একটি জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে সম্প্রতি। বিকল্পধারাকে বাদ দিয়ে যুক্তফ্রন্টের দুই শরিক নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়। এর ফলে যুক্তফ্রন্টের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
১৮ জুলাই বামপন্থী আটটি দল নিয়ে একটি জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নাম দেয়া হয় ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’। এ জোটে আছে সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।
এ জোটের একটি অংশ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সবাই যোগ না দিলে জোটটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে। সূত্র জানায়, নির্বাচনী জোট বাঁধতে নানামুখী প্রস্তাব পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জোটের নীতি-আদর্শের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রয়েছে এমন দলগুলোকে ১৪ দলীয় জোটে নেয়ার বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।
সমমনা কিন্তু আদর্শিকভাবে পুরোপুরি মিল নেই তাদের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য করে, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করা যায় কিনা তা ভাবা হচ্ছে। আর যেসব দল বা জোট সরাসরি ১৪ দলে আসবে না নির্বাচনে তাদেরও যুগপৎভাবে রাখা যায় কিনা, সেই চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকা ইসলামী দলগুলো জোটে আসতে চাচ্ছে। ইসলামী ভোটব্যাংকে ভাগ বসাতে বিভিন্ন ফরম্যাটে এ ধরনের দলগুলোকে ঐক্যে আনা যায় কিনা সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।
এর অংশ হিসেবে ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বেশ কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কথাবার্তা চলছে। জোটে যোগদানে আগ্রহীদের ব্যপারে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন ১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, জোটে অনেকেই আসতে চায়। তবে আমরা বলেছি জোটের আদর্শ ‘ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’য় বিশ্বাসী যে কোনো দল জোটে আসতে পারে। এর বাইরে নির্বাচনী মহাজোট তো আছেই।
আগামী নির্বাচনের আগে নির্বাচনী মহাজোটের পরিধি বাড়বে এটি এখনি বলা যাচ্ছে না। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইতিমধ্যে রাজনৈতিক বেশ কয়েকটি দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ওবায়দুল কাদের। ২৪ জুলাই সিপিবি অফিসে যান তিনি। সেখানে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলমের সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।
সিপিবি একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট না বাঁধলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ২৬ জুলাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কয়েক দিন পর বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সঙ্গে সরাসরি এবং এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে ধর্মভিত্তিক ১৫ দলীয় জোট, ১০ দল নিয়ে ‘ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক জোট’সহ ছোট ছোট অনেক দল ও জোট আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগ দিতে চায়।
এদিকে হঠাৎ করে ২০ দলের ভাঙাগড়ার পেছনেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি যে কারণ দেখিয়ে জোট ত্যাগ করে বাস্তব চিত্র তার উল্টো। জোটের অন্য শরিকদের দাবি, কোনো প্রলোভনে পড়েই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্যক্তি স্বার্থ চিন্তা করেই দুটি দল জোট ছেড়েছে। ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বিকল্পধারার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে জোটে গানি যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এনডিপিও একই পথ অনুসরণ করতে পারে।
সূত্র জানায়, ২০ দলীয় জোট থেকে দুটি দল সরে গেলে তাদের একাংশ জোটেই থাকছে। এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলটির জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মুকাদ্দিমকে নতুন চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মো. ওসমান গনি পাটোয়ারীকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়েছে।
তাদের নেতৃত্বেই দলটি ২০ দলীয় জোটে থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএন শাওন সাদেকীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শাওনের নেতৃত্বে ন্যাপের অংশটি ২০ দলে থাকবে।
সূত্র জানায়, জোট থেকে আরও কয়েকটি শরিককে বের করে নিতে চাপ রয়েছে। বিশেষ করে জোটের যেসব দলের নিবন্ধন রয়েছে ওই দলগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে জোট ভাঙার নেপথ্যের কারিগররা যোগাযোগ করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মুসলিম লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেন, তার দলের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে গুঞ্জন উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা জোটে আছি এবং থাকব। জোটের ঐক্যে ফাটল ধরাতেই কোনো একটি গোষ্ঠী এ ধরনের গুঞ্জন ছড়াচ্ছে।
জানা গেছে, জোট থেকে দুই শরিক চলে যাওয়ায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরাও বেশ তৎপর। তারা শরিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কারও কোনো অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকলে তা জানার চেষ্টা করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা একটা লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে জোট গঠন করেছিলাম। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আমাদের সেই লক্ষ্য এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এ লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সংগ্রাম চলছে।