নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে গায়ের জোরে এক মুক্তিযোদ্ধার কন্যার রেকর্ডীয় সম্পত্তি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে। গত ১৯ অক্টোবর১৮ তারিখে সাতক্ষীরা শহরের বাকাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগসুত্রে জানাগেছে, বিগত ২০১০ সালে পলাশপোল মৌজায় জে, এল ৯৪, ১৪৩৭৭ দাগে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর কাদেরের কন্যা সেলিনা আক্তার সাড়ে ৫ কাঠা এবং ট্রাক চালক জামাল উদ্দিনের স্ত্রী রেহেনা পারভীন ৬ কাঠা জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর থেকে পিছনের সম্পত্তির মালিক মৃত নইমুদ্দিনের ছেলে কেরামত আলী সেলিনা আক্তার, রেহেনা পারভীনের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা দাবি করতে থাকেন। অথচ ইতোপূর্বে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তারপরও কেরামত আলী গায়ের জোরে তাদের সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা দাবি করে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালে। তারা কয়েকবার ওই কেরামত আলীর সাথে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও কেরামত প্রভাবখাটিয়ে কাউকে তোয়াক্কা করেনি। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সেলিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। শিক্ষকতার কারণে তিনি বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন অন্যদিনে রেহেনার স্বামী ট্রাক চালক হওয়ায় বিভিন্ন সময় জেলার বাইরে থাকেন। ফলে আমার মহিলারা বাড়িতে থাকি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেরামত আলী এবং তার বড়পুত্র সাইদুল ইসলাম ইচ্ছামত আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে এসে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। আমাদের বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় তাদের কোন কথার প্রতিবাদ না করে চুপচাপ সহ্য করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গত ১৯ অক্টেবার’১৮ তারিখ সকালে আমরা কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই কেরামত আলী ও পুত্র সাইদুল ইসলাম সম্পূর্ণ গায়ের জোরে অবৈধভাবে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সম্পত্তি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে দেয়। আমরা বাড়ি ফিরে এবিষয়ে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমাদের খুন,জখমসহ মিথ্যা জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করে। উল্লেখিত ব্যক্তি একজন দূর্ধর্ষ প্রকৃতির ব্যক্তি। সে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মূল্যায়ন করে না। তারা উপায়ন্তর হয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা অবিলম্বে এই দুধর্ষ কেরামত আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানাপুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত কেরামত আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গাছকাটার কথা স্বীকার করে বলেন গাছ না কাটলে তো সমাধান হবে না। তাই গাছ কেটেছি। তবে তার ছেলে সাইদুল গাছ কাটা অন্যায় হয়েছে বলে জানান।