প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে সন্ত্রাসী কায়দায় বসতবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে, রান্নাঘর, প্রাচীর ভাংচুর এবং প্রায় ৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তৃন করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলারোয়ার ব্রজ বাকসা গ্রামের মৃত আবু বকর সরদারের পুত্র মো. মনিরুল হক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রজ বাকসা মৌজায় বি,এস ৫৭৯নং খতিয়ানে ২৮৩১ দাগে ৪৭ শতক এবং ২৮৪৫ দাগে ৩ শতক মোট ৫০ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করে আসছি। বাব-দাদাদের সময় থেকে আমাদের সম্পত্তির পিছন অংশে বসবাসকারীদের যাতায়াতের জন্য আমাদের সম্পত্তির উত্তর পাশ থেকে ১৪ ফুট চওড়া একটি রাস্তা দেওয়া হয়। রাস্তা দেওয়ার পর ওই রাস্তাটি বাদ দিয়ে আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির সীমানা নির্দ্ধারণ পূর্বক প্রাচীর নির্মাণ করে সেখানে ঘরবাড়ি ও গাছপালা লাগিয়ে বসবাস করছি। দীর্ঘ ৩০ বছর পরে এসে একই এলাকার মৃত. মিজানুর রহমানের (নুনু) ছেলে মহিবুল্লাহ ওই রাস্তা ব্যবহার না করে আমার বাড়ির মাঝখান থেকে তার যাতায়াতের জন্য গায়ের জোরে পথ দাবি করেন। আমরা দিতে না চাইলে সে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে এবং স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে। সে যে কোন সময় আমার বাড়িঘর ভাংচুর করতে পারে এই ভেবে গত ১১/১০/১৮ তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং- ১৪৭৯/১৮। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি পূর্বক শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলারোয়া থানাকে নির্দেশ দেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন আদালতের নোটিশ প্রাপ্তির পর মহিবুল্লাহ তার ভাই আশিকসহ তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যরা গত ১৯/১০/১৮ তারিখ সকাল ৭টায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে বাড়িতে প্রবেশ করে আমার সীমানা প্রাচীর, রান্না ঘর ভাংচুর করে এবং বাড়ির মধ্যে থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০টি গাছপালা কাটতে থাকে। যার মূল্য প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা। এসময় আমি বাধা দিতে গেলে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। জীবনের ভয়ে আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকি। পরবর্তীতে কলারোয়া থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উক্ত সম্পত্তিতে না যাওয়ার জন্য বলেন এবং আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। এঘটনায় পুলিশ এসে তাদের শাসিয়ে যাওয়ায় মহিবুল্লাহসহ তার ভাড়াটিয়া বাহিনী আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং প্রকাশ্যে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের যে কোন সময় হত্যা,খুন জখম এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। আমি বর্তমানে ওই মহিবুল্লাহ বাহিনীর ভয়ে ভীতুসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি। এব্যাপারে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার এবং ওই সন্ত্রাসী মহিবুল্লাহ বাহিনীর হাত থেকে নিজে ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।