অনলাইন ডেস্ক: কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ আসর চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে হাজার হাজার মানুষের ঢলে আইয়ুব বাচ্চুর শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে চৈতন্যগলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন রুপালী গিটারের এ যাদুকর। অগণিত ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীর অংশগ্রহণে পুরো জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। মাঠ ছাড়িয়ে পাশের সড়কেও সাধারণ মানুষ অবস্থান নেন। আশপাশের বিভিন্ন ভবনের উপরে জড়ো হন নারী ও শিশুরা। বিপুল সংখ্যক মানুষের ঢল সামলাতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
জানাজায় ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। জানাজায় আইয়ুব বাচ্চুর পিতা মোহাম্মদ ইছহাকও অংশ নেন।
এরআগে শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার বিএস১০৩-এর একটি ফ্লাইটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছায় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ প্রথমে সড়কপথে নেয়ার কথা থাকলেও পরে ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয় বলে জানান আইয়ুব বাচ্চুর ব্যান্ড এলআরবির ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ। শুক্রবার তৃতীয় জানাজা শেষে ব্যান্ড সংগীতের এ কিংবদন্তির মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দ্বিতীয় জানাজা হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ এর সামনে। এরপর তৃতীয় জানাজা হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ের সামনে।