জাতীয়

মঈনুল হোসনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ৫৫ বিশিষ্ট সাংবাদিকের

By Daily Satkhira

October 20, 2018

দেশের খবর: দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক ও কলামিস্ট মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৫৫ জন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তারা বলেন, একাত্তর টেলিভিশনে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে একটি প্রশ্ন করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান।

বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা মনে করি, কেবল সাংবাদিকসুলভ প্রশ্ন করায় কাউকে এরকম ক্ষিপ্ত হয়ে ‘চরিত্রহীন’ বলার এখতিয়ার কারও নেই। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও উম্মুক্ত গণমাধ্যম যখন বিভিন্নভাবে আক্রান্ত, তখন রাজনীতিবিদ ও আইনবিদ হিসেবে ব্যারিস্টার মঈনুলের কাছ থেকে এ রকম আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা আরও বলেন, এই ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আমরা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই নিন্দনীয় আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাই।

গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া ৫৫ জন বিশিষ্ট সাংবাদিক হলেন—প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ইটিভি’র এডিটর ইন চিফ অ্যান্ড সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবীব, বিডিনিউজ২৪.কমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদী, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও প্রধান নির্বাহী শামসুর রহমান, ডিবিসি’র প্রধান সম্পাদক ও সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, দৈনিক মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু বকর চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, জিটিভির এডিটর ইন চিফ ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

বিবৃতি দিয়েছেন এটিএন বাংলা’র হেড অব নিউজ ও নির্বাহী সম্পাদক, জ ই মামুন, এটিএননিউজের বার্তা ও অনুষ্ঠান প্রধান মুন্নি সাহা, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি’র সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, ডিবিনিউজের সম্পাদক নবনিতা চৌধুরী, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের যুগ্ম সম্পাদক অসীম সাহা, দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হোসেন, প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাঈদ খান, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, দৈনি ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক জাহিদ রেজা নূর, ডেইলি স্টারের ডেপুটি এডিটর ইনাম আহমেদ, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন মাসুম, বিএফইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ভোরের কাগজের এডিটরিয়াল ইনচার্জ সালেক নাসিরুদ্দীন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, ডিবিসিনিউজ প্রণব সাহা, এটিনিউজের হেড অব নিউজ প্রভাষ আমিন, ডিবিসিনিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, বাংলা ভিশনের সিনিয়র এডিটর মাসুদ কামাল, সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত, আরএসএফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সালিম সামাদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পেশাল এফেয়াস এডিটর জাহিদ হোসেন, দৈনিক জাগরণের নির্বাহী সম্পাদক দুলাল আহমেদ চৌধুরী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক ইকবাল মোহাম্মদ খান, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি আমান উদ দৌলা, এশিয়ান এজের প্রকাশক শোয়েব চৌধুরী, ডেইলি স্টারের চিফ নিউজ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, চ্যানেল-৯-এর হেড অব নিউজ আমিনুর রশিদ, দেশ টিভি’র নির্বাহী সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত অলক, ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির উপ সম্পাদক মাহবুবুল আলম।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের টকশোয় সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এক মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে নারীদের পক্ষ থেকে বুধবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে এজন্য ক্ষমা চেয়ে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

সর্বশেষ শনিবার (২০ অক্টোরর) সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ব্যরিস্টার মইনুলকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে ‘গৌরব ৭১’।