ফিচার

শ্যামনগরে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মঞ্চে জায়গা না পেয়ে গুলিবর্ষণের অভিযোগ

By Daily Satkhira

October 21, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিমা বিসর্জনের সময় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের দুই বাহিনী শক্তি প্রদর্শন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এক বাহিনী বন্দুক দেখিয়েছে। প্রতিপক্ষ বাহিনী ফাঁকা গুলি করে শক্তি প্রদর্শন করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। তবে বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, নদীতে ভাসমান একটি ট্রলার থেকে একটি গুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে লোকজন জানিয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানিনা’। এ ঘটনার পর আতংক ছড়িয়ে পড়ায় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটিতে। এ সময় হাজার হাজার নর-নারীর উপস্থিতিতে খোলপেটুয়া নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রলার নিয়ে বিপুল সংখ্যক দর্শণার্থী দুর্গাপ্রতিমা জড়ো হয়েছিল নদীর ঘাটে। প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করার জন্য বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ সেখানে একটি মঞ্চও তৈরি করে দেয়। মঞ্চে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। এ সময় আগামি সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আজম লেনিন মঞ্চে জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। তার ট্রলার থেকে জুতা প্রদর্শনের মতো অসম্মানজনক ঘটনা ঘটে। এরপরই তার ট্রলার থেকে বন্দুকের গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তবে প্রতিমা বিসর্জন কোনোভাবেই বিঘিœত হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি। এ বিষয়ে শফিউল আজম লেনিন সাংবাদিকদের বলেছেন ‘এটা মিথ্যা প্রচার। আমার ট্রলার থেকে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। জুতা দেখানোর ঘটনাও মিথ্যা’। শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলন বলেন, মঞ্চ থেকে এমপি সমর্থক লোকজন বন্দুক প্রদর্শন করে। এসময় শফিউল আজম লেনিন তার নৌকার বহর থেকে নিজস্ব বন্দুক দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় দর্শনার্থীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। তবে কেউ আহত হয়নি। শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার মৃধা বলেন, বিনা কারণে শফিউল আযম লেনিন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছেন। শ্যামনগর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঘটনা শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ঘটনা সম্পর্কে এমপি জগলুল হায়দার বলেন, আমি মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনি। এসময় মঞ্চে উপস্থিত লোকজন আমাকে নিরাপত্তার কারণে অন্যত্র সরিয়ে নেয়।