লাইফস্টাইল

উপকারী অ্যালোভেরার কিছু মারাত্মক ক্ষতিকর দিক

By daily satkhira

October 21, 2018

অনলাইন ডেস্ক: বাংলায় ‘ঘৃতকুমারী’ আর ইংরেজিতে অ্যালোভেরা নামে পরিচিত এই উদ্ভিদের অনেক উপকারিতা। যার ব্যবহার বহু যুগ আগে থেকেই। অনেক গুণের কারণে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে মানুষ পেয়েছেন নানা রোগের সমাধানও। কিন্তু এর রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও, যা অনেকেই জানে না। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, এই উদ্ভিদটি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব অনেক। অ্যাজমা, ড্যানড্রাফ, সেরিয়াসিসের মতো রোগগুলোর জন্য স্কিন কেয়ার চিকিৎসাগুলোতে অ্যালোভেরা খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া রসালো এই উদ্ভিদের পাতায় রয়েছে ২০ রকমের খনিজ পদার্থ যা মানবদেহের জন্য যে ২২টি এমিনো অ্যাসিড প্রয়োজন সেগুলো এতে বিদ্যমান। সেই সাথে এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি-ওয়ান, বি-টু, বি-সিক্স, বি-ওয়ানটু, সি ও ই। এতো গুণ যে উদ্ভিদের তা কি আবার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে?

চিকিৎসকদের মতে, অ্যালোভেরা জেল তখনই নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে যখন অ্যালোভেরার হলদে যে রসালো পদার্থ বের করা হয় তার সঙ্গে ‘অ্যালো লেটেক্স’নামের ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ল্যাটেক্স অ্যালোভেরার পাতার মধ্যেই থাকে। যা যদি খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অ্যালো ল্যাটেক্স পেট ব্যথা, র‍্যাশসহ নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর ল্যাটেক্স এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, প্রস্রাবে রক্ত, পটাশিয়ামের ঘাটতি, পেশী দুর্বলতা, ওজন হ্রাস এবং হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা হতে পারে। এমনকি অ্যালো ল্যাটেক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্টও হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

অ্যালোভেরার সবুজ পাতাই সেক্ষেত্রে নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। পাতা একটু বেশি পুরাতন হয়ে হলদেভাব এলে তা বর্জন করা উচিত। ভারতীয় একটি হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান ও পুষ্টিবিজ্ঞানী অমরদ্বীপ করের মতে, অ্যালোভেরা, আমলা এবং নিম শারীরিক জটিলতায় প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তবে এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হলে কিংবা অতিরিক্ত প্রয়োগের ফলে শরীরে আরো রোগ ব্যাধির বিস্তার ঘটতে পারে।