বিনোদনের খবর: একদিকে নামী সব অভিনেত্রীরা অভিযোগ করছেন অন্যদিনে ফেঁসে যাচ্ছেন গুণী সব পরিচালক- প্রযোজক ও অভিনেতারা। চারদিকে শুধু অভিযোগ আর অভিযোগ। মেয়েদের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে একের পর এক মুখ খুলছেন অভিনেত্রীরা।
#মিটু-র জেরে এরই মধ্যে নানা পাটেকার, সাজিদ খান, অলোকনাথের পর যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল আনু মালিকের বিরুদ্ধেও। শিল্পী সোনা মহাপাত্র ও শ্বেতা পণ্ডিতের পর এবার আরও এক নারী মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন।
আনু মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলে এক নারী মিড ডে-কে জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে আনুর দেখা হয় ১৯৯০ সালে মুম্বইয়ের মেহবুব স্টুডিওতে। সেখানেই আনু তাঁকে চেপে ধরেন। পরে ক্ষমা চেয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়।
আনু মালিকের সঙ্গে তাঁর একটি হয়রানির ঘটনা ঘটে সুরকারের নিজের বাড়িতে। ওই নারীর অভিযোগ, ‘নিজের বাড়িতে তাঁর পাশেই সোফাতে বসেছিলেন আনু। বুঝতে পারছিলাম ফাঁদে পড়েছি। কারণ ওইদিন আনুর বাড়ির কেউ ছিলেন না। উনি আমার স্কার্ট তুলে ধরেন। ওকে ঠেলে সরানোর চেষ্টা করছি এমন সময় দরজার বেল বেজে উঠল। ওই ঘটনার পর এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নিষেধ করেন আনু।’
ওই ধরনের যৌন হয়রানির ঘটনা আরও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই নারী। তিনি জানিয়েছেন, ‘একবার সন্ধ্যে সাড়ে আটটা নাগাদ আনু মালিক তাঁকে নিয়ে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে গাড়ি থামিয়ে দেন। ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় এসেছি। সেসব কথায় কান না দিয়ে উনি প্যান্টের জিপ খুলে ফেলেন। আমি গাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উনি আমার চুল ধরে ওর কোলের ওপর আমার মাথা চেপে ধরেন।‘
প্রসঙ্গত, #মিটু-র অভিযোগের যখন গোটা বলিউড নড়ে- চড়ে বসেছে তখন এ তালিকা থেকে বাদ যাননি দীপিকা পাডুকোন, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের মতো অভিনেত্রীরাও। এছাড়া এ তালিকায় আরও রয়েছেন বঙ্গকন্যে তনুশ্রী দত্ত, অনন্যা বিশ্বাস, কারিশমা শর্মা, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, কঙ্গনা রানাউত, নয়নী দীক্ষিত, সোনা মহাপাত্র, আলোকনাথ, কঙ্গনা রানাউত, কেট শর্মা মতো অনেকেই।
এরই মধ্যে এক অভিনেত্রী শাহরুখের ঘনিষ্ট বন্ধু করিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তারপরেই অভিযুক্ত অভিনেতাদের তালিকায় নাম উঠে ভাইজান নামে খ্যাত সালমান খানের। ভাইজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে পূজা মিশ্রা নামের এক মডেল-অভিনেত্রী। তার অভিযোগ সালমান খান তাকে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করেন। একাধিকবার তিনি এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন।
এছাড়া পরিচালক বিপুল অমৃতলাল শাহ’র বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন ইরানি অভিনেত্রী ইলনাজ নরৌজি। তাঁর অভিযোগ, ছবিতে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে কখনও জড়িয়ে ধরা, কখনও বা চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক।