খেলার খবর: বাংলাদেশ জাতীয় দলে তাঁর অবস্থানটা এমন, যেন ‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো’। প্রয়োজন হলে নেওয়া হবে দলে, ফুরিয়ে গেলে আবার বাদ দেওয়া হবে। এই কদিন আগে এশিয়া কাপে ওপেনার তামিম ইকবাল ইনজুরিতে পড়ায় হঠাৎ দলে নেওয়া হয় ইমরুল কায়েসকে। উদ্বোধনীতে খেলে অভ্যস্ত এই ব্যাটসম্যান ছয় নম্বরে নেমে ৭২ রানের হার-না-মানা একটি ইনিংস খেলে দলের প্রয়োজনে বুক চিতিয়ে লড়েছেন। সে তিনিই এবার ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে নিজের জাতটা ভালোভাবেই চিনিয়েছেন।
দলীয় ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন চাপের মুখে, তখনই ব্যাটহাতে দৃঢ়তা দেখান ইমরুল। দারুণ দুটি পার্টনারশিপ গড়ে দলের প্রয়োজনে চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১৪০ বলে ১৪৪ রান করেন। যাতে ১৩ চার ও ছয়টি ছক্কার মার রয়েছে।
এর আগে ইমরুলের সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল এই ঢাকায়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার তিনি করেছিলেন ১১২ রান। প্রায় দুই বছর পর একই ভেন্যুতে আরেকটি সেঞ্চুরি করে নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। সে সঙ্গে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণটাও ভালোভাবে দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সুযোগ পেলে নিজেকে তিনি ভালোভাবেই মেলে ধরতে পারেন।
ইমরুলের এই সময়োপযোগী ইনিংসের ওপর ভর করে এ দিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয়, করে ২৭১ রান। তা না হলে শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, সে ধারাবাহিকতা থাকলে একেবারেই বেহাল দশা হতো দলের।
দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয় রক্ষা করার পাশাপাশি, নিজের ঝুলিটাও সমৃদ্ধ করেছেন ইমরুল। করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে শতক। এর আগে ২০১০ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে। জাতীয় দলে খুব একটা নিয়মিত না হওয়ায় ক্যারিয়ারটাও হয়তো খুব একটা সমৃদ্ধ করতে পারেননি।
যেখানে সাকিব-তামিমরা প্রায় ২০০ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে ইমরুল খেলেন ৭৪টি ম্যাচ। নিয়মিত সুযোগ পেলে হয়তো আরো ভালো করতে পারতেন।