জাতীয়

সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সংসদ নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী

By daily satkhira

October 22, 2018

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যারা সংশয় প্রকাশ করছে তাদের উদ্দেশ্য সবাই জানে। যারা নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না। তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র থাকুক। নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে এখন কথা বলা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা করার স্বাধীনতা আছে। গণতান্ত্রিক ধারায় সবার রাজনীতি করার সুযোগ আছে। যারা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের কার কী ভূমিকা তা সবাই জানে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, জাতীয় সংসদে থাকা বিরোধী দলগুলো চাইলে নির্বাচনকালীন সরকার হবে, না চাইলে হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগে আমরা সব দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের আহ্বান সত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি সাড়া দেয়নি। এবার নির্বাচনকালীন সরকার দরকার আছে কি-না, সেটা দেখা যাবে।’

নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে কি-না বা হলে কেমন হবে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাকে বাদ দিয়ে যে মন্ত্রিসভা ছোট করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। বড় থাকলে কি সমস্যা আছে?’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ছোট মন্ত্রিসভা ও তখনকার বিরোধী দলকে নিয়ে সব দলের সরকার গঠনের কথা বলেছিলাম। এখন এটা দরকার আছে কি-না দেখা যাবে।’

এখন মন্ত্রিসভার আকার ছোট করতে সমস্যা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা এত প্রজেক্ট পাস করেছি, সেসব কাজ শেষ করা দরকার। এখন কয়েকটি মন্ত্রণালয় একজনের হাতে দিলে তিনি পারবেন কি-না, দুই-তিন মাসের মধ্যে আমাদের অনেকগুলো কাজ করতে হবে। এখন কাজগুলো করতে গেলে কাউকে সরিয়ে দিলে কাজগুলো ব্যাহত হবে কিনা, এ সমস্যাটা রয়ে গেছে। আমি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই এবং সবাই যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো করছে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা ছোট করা হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে। আমি ওইসব দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তো কোনো পরিবর্তন করে না। তারা তো বলেছে, তেমনটা করার তো কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। এখন দেখা যাক… অপজিশন যদি চায় তখন করবো। আর না চাইলে কিছু করার নেই।’ প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর সম্পর্কে জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে সৌদি আরব যান। সফরে তিনি সৌদি আরবের বাদশাহর পাশাপাশি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরে রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় নিজস্ব জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন এবং জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মদিনায় গিয়ে মসজিদে নববীতে এশার নামাজ আদায় এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করেন। এ সফরে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সৌদি আরব সফরের বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরেন।