খেলার খবর: গত মার্চে কেপটাউন টেস্টে স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারদের বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর থেকেই অধিনায়কত্ব নিয়ে দোলাচালে ভুগছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। হুট করে অধিনায়ক-সহ অধিনায়ক নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয় দলে, তড়িঘড়ি করে টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়কত্ব সঁপে দেয়া হয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম পেইনের কাঁধে।
যিনি কিনা কখনো নিয়মিতই ছিলেন না জাতীয় দলে। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে নতুন চমক উপহার দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক টিম পেইনের সাথে সহ-অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে দুজনের নাম- মিচেল মার্শ ও জশ হ্যাজেলউড। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারেননি হ্যাজেলউড। ফলে মিচেল একাই ছিলেন সহ-অধিনায়ক।
অথচ সিরিজে ডানহাতি এ পেস বোলিং অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তার দলেই থাকার কথা নয়। ক্রিকেট বোর্ডের এমন সব কাণ্ডে যারপরনাই বিরক্ত অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। তার মতে সব কিছু বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকেই তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব দেয়া উচিৎ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই টেস্ট অভিষেক হয়েছে ফিঞ্চের। দুই ম্যাচেই নিজেকে অভিজাত এ ফরম্যাটের জন্য যোগ্য প্রমাণ করেছেন ৩১ বছর বয়সী এ মারকুটে ওপেনার। তাই ওয়ার্ন মনে করছেন টেস্ট ক্রিকেটে ফিঞ্চ নিজেকে থিতু করে ফেলতে পারলে ফিঞ্চের হাতেই ছেড়ে দেয়া উচিৎ তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ন বলেন, ‘আমার মতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হওয়া উচিৎ অ্যারন ফিঞ্চ। তাকে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব করতে দেখা খুবই আনন্দের হবে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সে যদি টেস্ট ক্রিকেটে একবার নিজেকে মেলে ধরতে পারে, তাহলে লাল বলের ক্রিকেটে অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।’ এসময় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখন থেকেই ভাবার পরামর্শ দেন ওয়ার্ন। এছাড়া বর্তমান অধিনায়ক টিম পেইনকেও দেন কিছু পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ফিঞ্চ থাকবেই। আর মেগা ইভেন্টে অধিনায়কত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি তার অধিনায়কত্ব খুবই পছন্দ করি। তবে পেইনের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে যে তার উচিৎ আরও বেশি দায়িত্ব নেয়া। তার সামনে এগিয়ে এসে সবাইকে জানান দেয়া উচিৎ সে দলের অধিনায়ক এবং কঠিন মুহূর্তে চাপ নিতে সক্ষম।’