খেলা

জেতেনি ভারত, হারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ

By daily satkhira

October 25, 2018

খেলার খবর: ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের দেয়া ৩২২ রানের লক্ষ্য যেকোন দলের কাছেই পাহাড়সম মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল। মনে হচ্ছিল হাতে বেশ উইকেট ও বল রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যাবে তারা। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের নৈপুণ্যে রানের গতি কমে আসে ওয়েন্ট ইন্ডিজের, উইকেট হারিয়ে যায়। আরই এরই ফলশ্রতিতে জিততে পারেনি কোন দল। শেষ বলে এসে ম্যাচটি ড্র হয়েছে। বিশাখাপটনমে অনুষ্ঠিত ভারত-ওয়েস্টি ইন্ডিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। বিরাট কোহলি অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৩২১ রান সংগ্রহ করে। বিরাট কোহলি এদিন এই বিশাল রান সংগ্রহ করে ওয়ানডেতে দশ হাজারের রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি দ্রুততম দশ হাজার রান সংগ্রাহক হিসেবে শচীন টেন্ডুলকারকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন।

ভারতের হয়ে কোহলির পর সর্বোচ্চ রান করেন আমবাতি রাইডু। ৮০ বলে ৭৩ রান করে নার্সের বলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর বড় সংগ্রহ বলতে শিখর ধাওয়ানের। ৩০ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি। বাকিদের অল্প রানের সাথে বিরাট কোহলির বড় সংগ্রহ যোগ করে ভারত প্রতিপক্ষকে ৩২২ রানের মতো বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। ভারত এ বিশাল রান সংগ্রহ করতে ছয়টি উইকটে হারায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নেন অ্যাসলে নার্স ও দেবেন্দ্র বিশু।

অন্যদিকে ভারতের দেয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তেমন ভালো শুরু করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৩৬ রানের সময়েই ব্যক্তিগত ১৮ রানে পলওয়েল আউট হয়ে যান। একটু পর ৬৪ রানের সময় হেমরাজও ফিরেন সাজঘরে। তিনি সংগ্রহ করেন ৩২ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আশা জাগান ওয়ান ডাউনে নামা হোপ। হোপ তার নামের অর্থের মতোই আশা জাগিয়ে অপরাজিত ১২৩ রান সংগ্রহ করেন। তার রানেই মুলত প্রাণ ফিরে আসে ওয়েস্টি ইন্ডিজ দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের আশা জাগানিয়া আরেক ব্যাটসম্যানের নাম হেটময়র। হোপের সাথে জুটি গড়ে তিনি ৯৪ রান করেন। তিনি নিজে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি যেমন পেলেন না, তেমনি অল্পের জন্য জিততে পারলো না তার দলও। হেটমের চলে যাওয়ার পরই কার্যত ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোপ নানা জনের সাথে সঙ্গ দিয়ে খেলা চালিয়ে যান, কিন্তু তাকে কেউই আর ভালো মতো সঙ্গ দিতে পারেনি।

ওয়েস্টে ইন্ডিজের সামনে যখন সমীকরণ দাঁড়ায় এক বলে চার হলে ম্যাচ ড্র হবে ছয় হলে জিতবে তারা। তখন স্টাইকিংয়ে আশা-ভরসার সেই হোপ। শেষ বলে তিনি চার হাঁকালে ম্যাচ চলে যায় দু’দলেরই অনুকূলে অর্থাৎ ড্র। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাতস উইকেট হারায়। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন কুলদীপ যাদব।