বিনোদনের খবর: অনেক দিন থেকেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ঢাকাই সিনেমা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেহানা জলি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী প্রায় দেড় বছর থেকে কোন কাজ করতে পারছেন না। আর্থিক সংকটের কারণে চিকিৎসারও কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষেও আর চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। নিরুপায় হয়েই প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চাইলেন রেহানা জলি। রেহানা জলির অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার সংবাদ জেনেই তার খোঁজ খবর নিয়েছেন শিল্পী ঐক্যজোটের সভাপতি ডি এ তায়েব ও সংগঠনটির সেক্রেটারি জিএম সৈকতসহ কয়েকজন। রেহানা জলি বলেন, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঘরেই আছি। এখন তো সোজা হয়েও দাঁড়াতে পারছি না। বোনদের সহায়তায় চিকিৎসা করছি। কিন্তু ক্যান্সার তো দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা। এভাবে আর কত দিন চলতে পারবো জানিনা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিল্পীদের পাশে সবসময় ছিলেন। আশা করি আমার অসুখের খবরটি তার কানে গেলে তিনিও আমার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।’
জি এম সৈকত বলেন, ‘আমাদরে শিল্পী ঐক্যজোট সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছে। বিশেষ করে শিল্পীদের নানা সমস্যায় বিপদে আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। আমরা রেহানা জলির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করবো। আশা করি কিছু একটা হবে। আমরা এই অসুস্থ শিল্পীর পাশে আছি এবং থাকবো থাকবো ইনসাল্লাহ।’
উল্লেখ্য, প্রায় চারশোরও অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন জলি। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনেক চলচ্চিত্রে। শুধুমায়ের চরিত্রেই নয়, নায়ক রাজ রাজ্জাক,আলমগীরের মতো নায়কদের নায়িকা চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে রেহানা জলির যাত্রা শুরু হয়। অভিনয়ে জলি এতোটাই পারদর্শী ছিলেন যে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই ১৯৮৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ‘মা ও ছেলে’র পর রেহানা জলি ‘নিষ্পাপ’, ‘বিরাজ বৌ’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’সহ আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়মিতই অভিনয় করে গেছেন তিনি। সুস্থ হয়ে আবারও ফিরতে চান অভিনয়ে।