আসাদুজ্জামান : ১৯৬৭ সালে আমার স্বামীর কেনা জমিতে আমি বসবাস করছি টানা ২৫ বছর। সেই জমি ও বাড়ি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করে দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মোকলেছুর রহমান। আমি এখন দাঁড়াবো কোথায় ? সাংবাদিকদের সামনে এই প্রশ্ন রেখে শহরের সুলতানপুরের নাজিরা বেগম বলেন, শুধু উচ্ছেদ করা নয় আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছেন মোকলেছ।আমি এর বিচার দাবি করছি। তবে মোকলেছুর রহমান জানালেন, উচ্ছেদের সাথে তার নিজের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ওই জমি তার শ্যালক জিয়াউল হকের। ২০১৫ সালে তিনি এ জমি কিনেছিলেন এলাকার সফিউর রহমানের ওয়ারেশ সাবাহা নাজ ও সারাহা নাজের কাছ থেকে। সে সময় নাজিরা বেগম ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি কয়েক বছর ধরে ভাড়ার টাকা দিচ্ছেন না। উল্টো কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে তিনি বলছেন এ জমি তার। এ নিয়ে মামলাও করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে এই জমি দখল বেদখলের ঘটনা ঘটে । নাজিরা বেগম আরো বলেন, তিনি শহরের পিটিআই মোড় করাত কলের পাশে ১০ শতক জমিতে বসবাস করেন। তার স্বামী আবদুল ওয়াহেদ তার জীবদ্দশায় কিনেছিলেন এ জমি। তবে জমির মূল দলিল নেই । আছে একটি সার্টিফায়েড কপি। এ নিয়ে আমি মামলা করেছি আদালতে। কিন্তু তার রায় ঘোষনার আগেই মোকলেছুর রহমানের লোকজন তার ঘরবাড়ি ভেঙ্গেচুরে দিয়ে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আমি এ সময় বাড়িতে ছিলাম না। আমার মেয়ে সানজিদা ওয়াহিদকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয় তারা। ঘরে থাকা টাকা সোনা গয়না সবই লুট করে নিয়ে গেছে তারা। কয়েক বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন বলে জানান নাজিরা। তবে মোকলেছুর রহমান জানান, এই জমি নিয়ে থানায় দফায় দফায় বসাবসি হয়েছে। নাজিরা জমির মালিক নন তিনি ভাড়াটিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি কিছু জাল কাগজপত্র প্রস্তুত করেছেন। এর বলে নাজিরা নিজেই আদালতে মামলা দিয়েছেন। দুটি মামলায় তিনি হেরেও গেছেন। তারপরও ঘর থেকে নামতে চান না। ভাড়াও দেন না দীর্ঘদিন। বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী এক জোট হয়ে জমির মালিক জিয়াউল হককে সাথে রেখে তাদের উচ্ছেদ করেছে। এ সময় আমি ছিলাম অফিসে। নাজিরা বেগম জানান, তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাকে জানিয়েছে পুলিশ।