অনলাইন ডেস্ক: অবশেষে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। প্রায় তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া শেষে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে অনুপ্রবেশ মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন দেশটির আদালত।
শুক্রবার বিকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ নাকচ করে দেন। এবং ওই অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায়ে তাকে বেকসুর খালাস করে দেন এবং তাকে দ্রুত তার নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশও দিয়েছেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে টেলিফোনে বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। দ্রুত দেশে ফেরত যেতে চাই।’ প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচার চলার পর চলতি বছরের ১৩ আগস্ট এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর অবশ্য চারবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছায়। অবশেষে শুক্রবার এই রায় দেওয়া হলো। সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এপি মহন্ত। তার আগে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমদকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
এরপর দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিনের। কিন্তু ভ্রমণের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুদিন কারাগার ও হাসপাতালে কাটানোর পর স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় জামিনে মুক্তি পান সালাহ উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু ভারত ছাড়ার অনুমতি পাননি তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ও কয়েকজন স্বজন নিয়ে শিলংয়ে থাকতে শুর করেন তিনি।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বিএনপির ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। পরে কক্সবাজার থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে চার দলীয় জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।