বিদেশের খবর: শ্রীলংকার বরখাস্তকৃত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সরকারি বাসভবনে অবস্থান করছেন। যদিও তাকে বাসভবন ত্যাগের জন্য আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। রবিবার দেশটির কর্মকর্তারা এ কথা জানান। এদিকে তার বিতর্কিত উত্তরসূরি নতুন মন্ত্রিসভা গঠনকে সামনে রেখে একটি বিখ্যাত মন্দিরে যান এবং প্রার্থনা করেন। খবর এএফপি’র। নতুন ক্ষমতাসীন দল রনিলকে তার টেম্পল ট্রিসের সরকারি বাসভবন ত্যাগের জন্য রবিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।
শুক্রবার শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তাকে বরখাস্ত করেন। এর ফলে দেশটি গভীর সাংবিধানিক সংকটে পড়ে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, রনিলকে বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করতে পুলিশকে এখন আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে নিরাপত্তা ও সরকারি গাড়িগুলোকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর আগে রনিল সিরিসিনা কর্তৃক তার বরখাস্তকে বেআইনী বলে অভিহিত করে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডাকতে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে করে তিনি সংসদে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেন।
এদিকে সিরিসিনা তার মনোনীত নতুন প্রধানমন্ত্রীকে যেনো রনিল চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন সে জন্য প্রায় তিন সপ্তাহ পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা করেছেন। তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রীলংকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাকসের নাম ঘোষণা করেন।
রোববার বেসরকারি মালিকানাধীন পত্রিকাগুলো সিরিসিনের এই সিদ্ধান্তকে ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করে এটা দেশকে এক নজিরবিহীন সংকটে ফেলেছে বলে উল্লেখ করে। কলম্বোয় উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সকল পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং টেম্পল ট্রি’র ও প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাছে আরো অধিকসংখ্যক সেনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পশ্চিমা দেশগুলো শ্রীলংকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা সকল পক্ষকে শান্ত থাকার ও সংবিধানের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে।