স্বদেশ: উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার ঘাতক ওবায়দুল খানকে নীলফামারীর ডোমার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ওবায়দুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার ভোরে এডিসি আজিমের নেতৃত্বে নীলফামারীর ডোমারে অভিযান চালিয়ে সেখানকার ব্র্যাক অফিসের পেছন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে এখন ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
ওবায়দুলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানার ওসি রাজিউর রহমান রাজু।
এর আগে মঙ্গলবার এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওবায়দুলের বোন খাজিদা বেগম এবং ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলামকে আটক করেছে। রিশার মারা যাওয়ার পরপর তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে যাওয়া হলে তার বাড়িতে তালা ঝোলানো দেখা যায়। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে তার বাবা মারা গেছে। বাড়িতে থাকতো তার সৎ মা আখেলিমা, সৎ ভাই কালু ও আতিকুল। তবে তারাও এখানে সবসময় থাকতেন না। গত সোমবার দুপুরে স্থানীয় লাটের বাজারে তাকে অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত বিষয়টি কেউ আঁচ করতে পারেনি। সোমবার রাতে পুলিশের অভিযানের পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। তবে তার আগেই সটকে পড়েছে ওবাইদুল।পরিবারের বাকি সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাকরাইলে গত বুধবার বখাটে এক যুবকের ছুড়িতে আহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। মৃত্যুর আগে তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ওবাইদুলকে অভিযুক্ত করে যায় সে।এই ঘটনায় রিশার মা বুধবারই ওবায়দুলকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।