আব্দুল জলিল: ৫৭ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়ে জেল খাটেন তিনি। জামিনে বেরিয়ে দুই কেজি গাঁজাসহ আবারও আটক হন খোরশেদ আলম। এখন সেই খোরশেদ পুলিশের নির্ভরযোগ্য সোর্স। তিনি নিরীহ লোকজনকে মাদক মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার নাম করে চুটিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। খোরশেদ আলম এর বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের। গ্রামে প্রথম স্ত্রীকে রেখে আরও একটি বিয়ে করে তিনি থাকেন সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গিতে। রাতদিন তার আড্ডা শহরের খুলনা মোড় ও সঙ্গীতা সিনেমা মোড়ে। এসব স্থানে বসে তিনি নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশের নাম করে চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ। তার এ কাজে সহযোগিতা করেন একই এলাকার শরিফুল, কাসেম, এগার মামলার আসামি লেয়াকাত ও চারাবাড়ির আলমগীর। গ্রামবাসীর অভিযোগ খোরশেদ সাপ হয়ে কামড়ায় আর ওঝা হয়ে ঝাড়ায়। খোরশেদের ভাই এর জামাই কালাম ইতমধ্যে মাদক চোরাকারবারী করতে যেয়ে গুিলতে মারা গেছে। এলাকায় লেয়াকাত খোরশেদের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, খোরশেদ সম্প্রতি কালু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করান। তার কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পাঠানো হয় জেলে। এদিকে খোরশেদের চালাকিতে দুইবার আটক হন একই এলাকার শহিদ। তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একইভাবে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে আটক করান এলাকার মহব্বত, আক্তার, যুবলীগ কর্মী মাসুমসহ অনেককে। খোরশেদের ভয়ে তার বাড়ির এলাকার অনেক নিরীহ মানুষও গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। এলাকায় প্রচার রয়েছে খোরশেদ পুলিশের লোক। তিনি গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স। তার পাল্লায় পড়লে রক্ষা নেই। এলাকার ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ বলেন খোরশেদ আলম সাতক্ষীরায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করে নিরীহ লোকদের গ্রেফতার করানোর বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বলেন তিনি গ্রামের কোনো লোককে পুলিশ দিয়ে ধরান না। তিনি আরও জানান ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক হবার মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।