খেলা

৫৫৬ রানের ইনিংস খেলে আলোচনায় ভারতীয় কিশোর

By daily satkhira

October 31, 2018

খেলার খবর: ভারতের গায়কোয়াড় অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অপরাজিত ৫৫৬ রানে ইনিংস খেলেছেন প্রিয়াংশু মলিয়া নামের এক খুদে ক্রিকেটার। ছেলেটি মহিন্দর অমরনাথের ক্রিকেট একাডেমিতে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছে। একসময় বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার

মহিন্দর অমরনাথ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ১৯৯৩ সালের শুরুর দিকে। পরের বছর আইসিসি ট্রফি পর্যন্ত আকরাম খানদের কোচ পদে ছিলেন মহিন্দর অমরনাথ । গুজরাটের বরোদায় নিজের নামে ক্রিকেট একাডেমিতে এখন ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাজ করছেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক। কাল গায়কোয়াড় অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টে অমরনাথকে সেই ভবিষ্যতেরই ঝিলিক দেখিয়েছেন তাঁরই শিষ্য প্রিয়াংশু মলিয়া। যোগী ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে মহিন্দর লালা অমরনাথ একাডেমির হয়ে দুই দিনের ম্যাচে এই ১৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৫৫৬ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস।

ব্যাটিংয়ে নামার আগে বল হাতেও যোগী একাডেমিকে ঘূর্ণি ফাঁসে জড়িয়েছেন প্রিয়াংশু। প্রথম দিনে যোগী একাডেমির ৫২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে ৪ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রেখেছেন এই খুদে অফ স্পিনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ৪০৮ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন প্রিয়াংশু। পরের দিন এই ইনিংসে যোগ করেছেন আরও ১৪৮। দলীয় ইনিংস যেখানে ৪ উইকেটে ৮২৬, সেখানে প্রিয়াংশুর একারই অপরাজিত ৫৫৬! ৩১৯ বলে ৯৮টি চার আর ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই খুদে ব্যাটিং-বিস্ময়। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও যোগী একাডেমি দাঁড়াতে পারেনি। ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। এক ইনিংস ও ৬৮৯ রানে অমরনাথ একাডেমির বিশাল জয়ের পেছনে বল হাতে প্রিয়াংশুর অবদান ৬ উইকেট। যোগীর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেন তিনি। গত বছর এই একই টুর্নামেন্টে আড়াই শর বেশি রানের ইনিংস খেলেছিলেন প্রিয়াংশু। তবে এবার ব্যাটিংয়ের সময় ইনিংসটা আরও বড় করতে চেয়েছিলেন প্রিয়াংশু, ‘সোমবার প্রথম শতক পাওয়ার পর ২০০ রানের লক্ষ্য স্থির করেছি। এরপর ১০০ রান করে লক্ষ্যস্থির করে খেলেছি। এভাবে খেলে যাওয়ার মনঃসংযোগ ছিল।’

মহিন্দর অমরনাথের একাডেমিতে সুযোগ পেতে রাজকোট থেকে বরোদায় এসেছিলেন প্রিয়াংশু। অমরনাথ পাকা জহুরির মতোই রত্ন চিনতে ভুল করেননি। প্রিয়াংশুকে নিয়ে অনেক আশা ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেটারের, ‘প্রথম দেখাতেই বুঝেছি সে বিশেষ কেউ। বেড়ে ওঠার সঙ্গে তাঁর ব্যাটিং আরও প্রস্ফুটিত হবে। ব্যাটিংয়ের সময় ধৈর্য আর খেলাটির প্রতিও তাঁর ভালোবাসা আছে।’