দেশের খবর: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংলাপ।আজ বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাক্তার দীপু মনি, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১৬ জন সংলাপে অংশ নেবেন। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন গণভবনে যাচ্ছেন।
এর আগে সংলাপের আহবান জানিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। সে চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের অংশ হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারার সঙ্গে শুক্রবার (২ নভেম্বর) ও সোমবার (৫ নভেম্বর) বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ হয়েছে। এছাড়া সরকার বা দলগুলোর প্রত্যাশ্যায় আরও একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শুধু ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্ট নয়, প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দলের সঙ্গেও সংলাপে বসতে রাজি। তবে, সময় একটি ব্যাপার, শিডিউলের বিষয় আছে। এর মধ্যেই সংলাপ করতে হবে।’
সংলাপকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে ইতোমধ্যে মৃদু সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে বসার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।