দেশের খবর: নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপ ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দল অংশ নেবে। বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদ ড. আবদুস সোবাহন গোলাপ এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সংলাপের আমন্ত্রণপত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে হস্তান্তর করেন। এ সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ সফল হবে না। কারণ তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ যে দাবি তুলেছেন তা সরকার মেনে নিতে পারবে না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে গেলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। এরশাদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে তিনশ’ আসনেই নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। এ সময় আওয়ামী লীগ দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সংলাপে বসার আগ্রহকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত আছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু এমপি, সুনীল শুভরায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, এসএম ফয়সল চিশতী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুর সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীর পিএস-১-এর দফতর চিঠিটি গ্রহণ করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দফতরে ছিলেন না। তিনি বাইরে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। সংলাপের চিঠির বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে এসেছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরাও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। এ বিষয়টি উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।’ জানতে চাইলে সুনীল শুভরায় যুগান্তরকে বলেন, সম্মিলিত জাতীয় জোটের পক্ষে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের পক্ষে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চলমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসতে আজ গণভবনে যাবে বিএনপির পাঁচ নেতাসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার পরদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকল্পধারা বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে বসবেন। এজন্য বিকল্পধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ‘আমন্ত্রণপত্র’ও পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।